‘ক্ষমতা আছে সেই সময় ৩১৩ টা চাকরি দেওয়ার…?,’ পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন প্রান্তিক

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছর নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র ধরে সামনে আসে পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ (Recruitment Scam)। সামনে আসে হেভিওয়েট সব নেতাদের নাম। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযুক্তদের তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের, যাদের নামে FIR হয়েছে তাদের ৪১এ নোটিশ কেন দিল না বিধাননগর কমিশনারেট এবং সিআইডি? এই নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে উচ্চ আদালত।

গত বছর জানুয়ারি মাসে জিটিএ-তে নিয়োগ কারচুপি (GTA Recruitment Scam) নিয়ে অভিযোগ তুলে একটি বেনামি চিঠি সামনে আসে শিক্ষা দফতরে। শিক্ষা দফতর সেই চিঠি ডিআইজি, সিআইডিকে ও ভিজিলেন্স কমিশনকেও পাঠায়। সেই চিঠিতে অভিযুক্ত হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিনয় তামাং, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ হাবড়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বুবাই বোস, স্কুল পরিদর্শক প্রাণগোবিন্দ সরকার-সহ প্রান্তিক চক্রবর্তীরও নাম ছিল। এবার এই অভিযোগ নিয়েই মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা প্রান্তিক (Prantik Chakraborty)।

GTA নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করলে Bangla Hunt- কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে প্রান্তিক বলেন, “এটা একটা জুডিশিয়াল ম্যাটার। তো জুডিশিয়াল ম্যাটার সম্পর্কে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। জুডিশিয়াল ম্যাটার সম্পর্কে মন্তব্য করার নেই। সেটা যেমন চলছে চলুক। তবে সেখানে যদি আমার কোনো রকম সহযোগিতার দরকার হয় সেখানে আমি অবশ্যই সহযোগিতা করবো। ”

তৃণমূল নেতা স্পষ্ট জানান, “আমার দ্বারা যতটা হয় যথাসাধ্য সহযোগিতা করব আমি। আমার কোনো অসুবিধা নেই। কারণ এই ঘটনার সাথে কোনোভাবেই আমি যুক্ত নেই। আগেও বলেছি এই ঘটনার সঙ্গে দূরদুরান্তে আমার কোনো যোগসূত্র নেই। তদন্তের স্বার্থে যদি আমার কোনো রকম সহযোগিতার দরকার হয় যে যেখানে ডাকবে আমি সেখানে সেই মুহূর্তে যেতে প্রস্তুত আছি।”

বেনামি চিঠি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত?

“হ্যাঁ, এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অভিসন্ধি। আগেও যখন ঘটনাটা ঘটেছিল তখনও আমি বলেছি। এর ঘটনা যখন ঘটে পরবর্তী সময়ে আমি পাহাড়ের উপর আমি একটি ছবি বানিয়েছিলাম। প্রায় তিনমাস আমি সেখানে যাতায়াত করেছিলাম। নেপালি একটি ছবি বানিয়েছি। তো এই রকম একটা বৃহত্তর ঘটনার সঙ্গে যদি আমি জড়িত থাকি তাহলে পাহাড় একটা ছোট্ট জায়গা তাই না! তাহলে কী সেখানে আমাকে খুঁজে পেত না বা আমার একটা নেগেটিভ পারসেপশন তৈরি হত না?”

জোর গলায় প্রান্তিকবাবু বলেন, “আমি প্রথম দিন যেটা বলেছি আজও সেটা বলছি। যেখানে যে তদন্তের স্বার্থে ডাকবে আমি যেতে রাজি। আমি নিজে একজন আইনের ছাত্র, আমি আইনে পিএইচডি করছি। তদন্তে সহযোগিতা করা যেকোনো নাগরিকের কর্তব্য। যদি কোনো নোটিস দেওয়া হয় অবশ্যই সেই নোটিসের ভিত্তিতে যা যা করণীয় করব। আবারও বলছি আমি এই ঘটনার সাথে দূর-দূরান্তে জড়িত নই।”

আরও পড়ুন: তলব করা হল এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্যকে, আজই হাজিরার নির্দেশ, কারণ কী?

নিজের যুক্তি দিয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, ” যে সময়ের কথা বলা হয়েছে যে সময় চিঠি দেওয়া হয়েছিল ২০১৭-১৮ সালের, সেই সময় আমি একজন নগন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকত্তোর ছাত্র মাত্র। খাগড়া ল কলেজে একটা মাস্টর ডিগ্রির ছাত্র মাত্র। সেই ছাত্রর কী ক্ষমতা আছে সেখানে ৩১৩ টা চাকরি দেওয়ার? জানিনা কারা এটা করেছে। তবে আইনের উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আইন নিজের পথেই যাবে।”

Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

X