বাংলা হান্ট ডেস্ক : অবশেষে হালিশহরের পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রাজু সাহানি ( Raju Sahani)। চিটফান্ড মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁকে পদে রাখা নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা। তৃণমূলের (Trinamool Congress) ভিতরেও প্রশ্ন ওঠে এই বিষয়ে। বুধবার পুরসভায় দীর্ঘক্ষণ বৈঠকের পর তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করা হয়। ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তাপস রায় (Tapas Ray) এই পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন।
রাজুর পদত্যাগের পরেই তাঁর জায়গায় উপ-পুরপ্রধান শুভঙ্কর ঘোষের নাম ঘোষণা করেছে শাসকদলের সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব। উপ পুরপ্রধান হিসাবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে কাউন্সিলর হিমানীশ ভট্টাচার্যের। বুধবার রাজু বলেন, ‘দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা মাথা পেতে নিলাম। হালিশহরের মানুষের স্বার্থে নতুন পুরপ্রধানকে সবরকম সাহায্য করব।’
খুব সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন রাজু সাহানি। চিটফান্ড মামলায় সিবিআই হেফাজতে ছিলেন তিনি। রাজু পুরপ্রধান থাকলেও বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি পুরসভায় বিশেষ আসতেন না বলে জানা গেছে। পুর পরিষেবা নিয়েও সম্প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। রাজুর এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিলেন উপ পুরপ্রধান শুভঙ্কর ঘোষ। এই নিয়ে আরও একবার চরমে ওঠে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
মঙ্গলবার তাপস রায়ের উপস্থিতিতে পুরসভার সব কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই পদত্যাগ পত্র পেশ করেন চেয়ারম্যান রাজু সাহানি। তবে এখনও পর্যন্ত সেই পদত্যাগ পত্র গ্রহণ হয়নি। নিয়ম মাফিক এক সপ্তাহ পর বৈঠক করে তবেই তা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তাপস রায়। তারপর হবে নতুন চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণ।
রাজু সাহানিকে পদত্যাগ করিয়ে দল শুদ্ধিকরণ করল? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি তাপস রায়। ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুবোধ অধিকারীও পুরসভায় উপস্থিত ছিলেন এদিন।