বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এলেন সৌগত রায় (Sougata Roy)। ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি ও গুলিকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক মন্তব্য দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌগত রায়ের। সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে আইনের পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। তিন বছর আগে মণীশ শুক্লা খুন হন। আমি মনে করি সব পুলিসকর্মী ভালো নয়। কিছু পুলিস আধিকারিক আছেন, যারা ঘুষ খায় কাজ করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পুলিসের কোনও দালাল নই। আমি কোনও গুন্ডা নিয়ে গাড়িতে চলাফেরা করি না। আমি যদি কাউকে না মারি তাহলে সে কেন আমাকে মারবে। আমি যদি শান্তিতে থাকি তাহলে কোনও গুন্ডা আমাকে কিছু করতে পারবে না। পুলিস যদি কোনও ভুল করে তাহলে আমাকে জানান। থানার আইসি কাজ না করলে আমাকে জানান।’
সৌগত রায় বলেন, ‘আমি কমিশনারকে বলবো। কমিশনার যদি কাজ না করে আমাকে জানান। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলব। আমি একজন রাজনৈতিক লোক, আমি যাকে খুশি অভিযোগ জানাতে পারি।’ কামারহাটি থানার এক অনুষ্ঠানে এসে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সাংসদ সৌগত রায়।
ব্যারাকপুর গুলিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিস ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। আটক আরও ২। গ্রেফতার হওয়া দুই আসামির নাম শফি খান ও জামশেদ আনসারি। শফি খানকে খড়দহ রহড়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামশেদ আনসারিকে বীরভূমের মুরারই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে একটি মোটরবাইক পাওয়া গিয়েছে। বাকি অস্ত্র এবং অন্য বাইকটির সম্পর্কে খোঁজ চালানো হচ্ছে।
কী হয়েছিল ঘটনা? বুধবার সন্ধেয় ব্যারাকপুরের ৪ নম্বর রেলগেটের কাছে একটি সোনার দোকানে ঢুকে পড়ে একদল ডাকাত। ক্রেতা সেজে দোকানে ঢোকে তারা। সকলেরই মাথায় ছিল হেলমেট। অভিযোগ, দোকানে ঢুকে একসঙ্গে অনেক গয়না দেখতে চায় দুষ্কৃতীরা। এরপর যখন দোকান মালিকের সঙ্গে বচসা শুরু হয়, তখন ৪ থেকে ৫ রাউন্ড গুলি চালায়।
ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় সোনার দোকানে এলোপাথারি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। স্রেফ দোকান মালিক নন, গুলিবিদ্ধ হন তাঁর ছেলে ও দোকানের এক কর্মচারীও। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মালিক পুত্রের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দোকান মালিক ও এক কর্মচারীকে।