বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সপ্তাহান্তেই বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠবে গোটা রাজ্য। তার আগে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কলেজে সরস্বতী পুজো করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তীর খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ।
মমতার কলেজে সরস্বতী পুজো করতে বাধা তৃণমূল (Trinamool Congress) ছাত্রনেতার!
ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে। অভিযোগ, সেখানে পড়ুয়াদের সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) করতে বাধা দিয়েছেন তৃণমূল ছাত্রনেতা সাব্বির আলি। ছাত্রছাত্রীদের কথায়, কলেজে ঢুকে পুজো করতে বারণ করেন তৃণমূলের ওই ছাত্রনেতা। যদি পুজোর আয়োজন করা হয়, তাহলে ছাত্রদের খুনের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। সাব্বির বলেন, রাস্তায় বেরোলে দেখে নেব। ছাত্রীদের ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব। এমনই অভিযোগ উঠেছে।
কলেজে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের সরস্বতী পুজো করতে বাধা দেওয়া এবং ধর্ষণ-খুনের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ চৌধুরী। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার বিরুদ্ধে চারু মার্কেট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সংশ্লিষ্ট কলেজের পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদ ছাড়তে হবে! এবার কড়া নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট! কোন মামলায়?
এই বিষয়ে অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় বলেন, ‘আমি সাব্বির আলির দাপটে কলেজে যেতে পারি না। বাড়ি থেকে কাজ করতে হয়। কলেজে গেলেই ওর ছেলেরা আমায় হেনস্থা করে। যে ঘটনা ঘটেছে সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়’।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলার সংস্কৃতিতে কোনও কালেই সরস্বতী পুজো ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে দেখা হতো না। যদি কলকাতার বুকে মুখ্যমন্ত্রীর কলেজে সরস্বতী পুজো নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, তাহলে বুঝতে হবে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু যেমন চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি হয়ে গিয়েছেন, তেমন হিন্দু উদ্বাস্তু বাঙালি তৃণমূলের কারাগারের বন্দি হয়ে যাচ্ছে। এর থেকে বাঁচাতে হবে। বাংলাকে তৃণমূলের শাসন থেকে মুক্তি করতে হবে’।
উল্লেখ্য, সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়া শুধু নয়, তৃণমূলের (Trinamool Congress) ছাত্রনেতা সাব্বির আলির বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে গুণ্ডাগিরির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। এরপর উচ্চ আদালতের তরফ থেকে সাব্বিরের কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে তারপরেও ওই তৃণমূল নেতা এবং তাঁর শাগরেদরা কলেজ ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। এবার তাঁর বিরুদ্ধে কলেজের সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।