বাংলাহান্ট ডেস্ক : তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) নিজেদের মধ্যেই লড়াই যেন আরোও তীব্র হয়ে যাচ্ছে। এবার শাসক দলের মধ্যেই পারিবারিক বিরোধের বিষয়টিও প্রকাশ্যে এল। জয়নগর (Joynagar) অঞ্চলে বিধায়কের (Members of lagislative assembly) বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ আনলেন তাঁর নিজের শ্যালক। আজ জয়নগর থানার দক্ষিণ বারাসাত অঞ্চলে এক তৃণমূল বিধায়কের শ্যালককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠলো।
সূত্রের খবর, ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম প্রবীর মণ্ডল। তাঁকে সকলের সামনে ব্যাট, উইকেট এবং লাঠি দিয়ে মারা হয় বলেই জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জয়নগর-১ ব্লকের পদ্মেরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে কী কারণে এই মারধর?
সূত্রের খবর, প্রবীর মণ্ডল ছিলেন সেই অঞ্চলের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের শরণাপন্ন। অভিযোগ উঠেছে ব্লক তৃণমূল নেতা তুহিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। প্রবীর মণ্ডলের বক্তব্য অনুযায়ী, তাঁর নিজের জামাইবাবু অর্থাৎ অঞ্চলের বিধায়ক ও তুহিন বিশ্বাসের লোকেরা তাঁকে পিটিয়েছে। তবে, তিনি তাঁদের মুখ চিনলেও নাম জানেন না। অন্যদিকে যখন তুহিন বিশ্বাসকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তিনি বলেন, প্রবীর মণ্ডল নিজেই ওই বিধায়ককে হারানোর জন্য ২০২১ সালে বিজেপিতে যোগদান করেছেন এবং তিনি এই ঘটনার সাথে যুক্ত নন। উল্টে হয়তো প্রবীর নিজেই জুয়া খেলার সময় টাকা হারিয়ে মার খেয়েছেন বা জমি সংক্রান্ত কোনো বিষয় ঘটে থাকতে পারে।
কিন্তু এদিকে আবার প্রতিমা মণ্ডল দাবী করেছেন যে প্রবীর মণ্ডল তৃণমূলের একান্ত একজন প্রার্থী। এই বিষয়ে যখন প্রবীরের ছেলে প্রিয়ব্রতকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি জানান যে তাঁর বাবা রোজই দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর তাস খেলতে যেতেন। তৃণমূলের সমর্থক ছিলেন। কিন্তু এই দিন তাঁর কাছে হঠাৎ ফোন আসে যে, অঞ্চল বিধায়কের লোকেরা তাঁর বাবাকে মারধর করছে। তবে তিনি সেখানে উপস্থিত না থাকায় আসল ঘটনাটি কী তা জানেন না।