বাংলাহান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচন মত এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক হানাহানি বাড়ছে গোটা রাজ্য জুড়ে। হচ্ছে একের পর এক খুন। হাঁসখালি, শীতলকুচির পর এবার রক্তাক্ত হল চন্দ্রকোনাও (Chandrakona)। নিজের নির্মীয়মাণ বাড়িতেই চন্দ্রকোনার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী (Trinamool Congress Leader) খুন (Murder) হতেই রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি। যদিও এখনও পর্যন্ত খুনীর সন্ধান মেলেনি।
পুলিশের তরফে অনুমান করা হচ্ছে, এই খুনের সঙ্গে মহিলাঘটিত ঘটনার যোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, পেশায় কৃষক পুড়শুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম বটকৃষ্ণ পাল। বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। শুক্রবার রাতে তাঁকে ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এলাকার দাপুটে ওই তৃণমূল নেতার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই বাড়ির সামনে লোক জমে যায়। তবে বটকৃষ্ণের পরিবারও দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারি চেয়েছে।
গ্রামবাসীদের চাপের সামনে মৃতদেহ উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন পুলিশকর্মীরা। তবে, এলাকায় তল্লাশি শুরু করতেই ঝোপ থেকে মহিলাদের চপ্পলের হদিশ পাওয়া যায়। এরপরেই পরিস্থিতি জটিল হলে পরিবারের দাবি মেনে বিকেলে পুলিশ কুকুর আনা হয়। ঘাটালের এসডিপিও অগ্নিশ্বর চৌধুরী বলেন, “এটা নিশ্চিত বটকৃষ্ণবাবুকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে । পুলিশ কুকুর আনা হয়েছে। আশা করছি আততায়ীর সন্ধান মিলবে।”
জানা গিয়েছে, তাঁর মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন সুস্পষ্ট। গলায় গভীর কোপ থাকার পাশাপাশি ধড় থেকে মাথা প্রায় আলাদা হওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। নিহতের ছেলে গোবিন্দ পাল বলেন, “বাবাকে কে বা কারা এমন নৃশংসভাবে খুন করল তার তদন্ত দাবি করেছি। বাবার সঙ্গে কারও বিবাদ ছিল বলে আমরা জানি না।” তবে, তৃণমূলের এই নেতার মৃত্যুর খবরে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহাদেব মল্লিক বলেন, “বটকৃষ্ণ পাল আমাদের দলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এক সময় বুথ সভাপতিও ছিলেন। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে এটা রাজনৈতিক খুন নয় বলেই মনে হচ্ছে। আমরা তদন্ত দাবি করেছি।’’ স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী কাজল সর্দার জানান, “আমাদের এই গ্রাম তথা সন্নিহিত এলাকায় এই ধরনের ভয়ানক ঘটনা এই প্রথম ঘটল।”