বহিষ্কার হওয়া থেকে বাঁচতে অভিনব পন্থা! স্ত্রীকে ডিভোর্স দেবেন তৃণমূল নেতা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন কয়েক আগে তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ায় নির্দলে দাঁড়িয়েছিলেন স্ত্রী। আর স্ত্রীর এই কাণ্ডের পর তৃণমূল প্রার্থী তাঁর স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠায়। ভালোবাসা করে বিয়ে, তারপর দীর্ঘ ৩১ বছরের সাংসারিক জীবন অতিবাহিত করে শেষমেশ রাজনীতির জন্য বিবাহ বিচ্ছেদ। চারিদিকে এই ঘটনা নিয়ে যখন সমালোচনা চলছে, তখন এরকমই এক কাণ্ড করতে দেখা গেল তৃণমূলের আরও এক নেতাকে।

বহিষ্কার হওয়া থেকে বাঁচতে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগলেন আরও এক তৃণমূল নেতা। প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাটি ঘটেছিল দক্ষিণ দমদমে। এবার মালদার ইংরেজবাজারে। জানা গিয়েছে যে, তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন বিদায়ী কাউন্সিলর পরিতোষ চৌধুরীর স্ত্রী কাকলিদেবী। আর সেই কারণেই পরিতোষবাবু এবার ওনাকে ডিভোর্স দিতে চলেছেন।

২০০৫ সালে সিপিএমের টিকিটে জয়লাভ করে প্রথমবার কাউন্সিলর হয়েছিলেন কাকলিদেবী। এরপর ২০১৫ সালে সিপিএমেরই টিকিটে জয়লাভ করে প্রথমবার কাউন্সিলর হন পরিতোষবাবু। কিন্তু এখন দুজনাই তৃণমূলে।

তৃণমূলের তরফ থেকে জারি করা প্রথম তালিকায় কাকলিদেবীর নাম ছিল। কিন্তু তালিকা সংশোধন হওয়ার পর নতুন তালিকায় ওনার নাম আর ছিল না। এরপর ইংরেজবাজারের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল হিসেবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন কাকলিদেবী। শুধু কাকলিদেবীই না, এরকম অনেকেই টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তৃণমূলের তরফ থেকে এমন বিদ্রোহ দমন করার জন্য তাদের বহিষ্কার করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।

তৃণমূলের কড়া হুঁশিয়ারিতে বিপাকে পড়েন পরিতোষবাবু। আর এই কারণেই তিনি স্ত্রী কাকলি চৌধুরীকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরিতোষবাবু এও জানিয়েছেন যে, তাঁর স্ত্রী কোনদিনও নাকি তৃণমূল করতেন না। তিনি আগাগোড়াই বামপন্থী রাজনীতি করেন। পরিতোষবাবু এও জানিয়েছেন যে, তাদের বিবাহবিচ্ছেদের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে কাকলিদেবী বলেছেন যে, মানুষ আমাকে চায় বলেই আমি নির্দলে দাঁড়িয়েছি। কোন প্রার্থীতালিকায় আমার নাম আছে না নেই, সেসব দেখে লাভ নেই।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর