টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! প্রতিবাদে দুই তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারধর গ্রামবাসীদের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য উঠে আসায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে, যা নিয়ে ক্রমশ অস্বস্তি বেড়ে চলেছে শাসকদলের। একাধিক প্রান্তে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, কোনো কোনো জায়গায় টাকা হাতিয়ে পরবর্তীকালে চাকরি না দেওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদে সামিল হয়েছে অসংখ্য চাকরিপ্রার্থীরা। গতকাল এহেন ঘটনাই উঠে এলো উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ এলাকা থেকে, যেখানে টাকা দিয়েও শেষ পর্যন্ত চাকরি না মেলায় দুই তৃণমূল নেতাকে মারধর করল চাকরিপ্রার্থীরা।

ঘটনার কেন্দ্রস্থল কালিয়াগঞ্জের বিরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের শাকধুয়া জামবাড়ি গ্রাম। গতকাল রাতের দিকে আচমকাই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী দাবি করতে থাকে, এলাকার দুই যুবক তথা তৃণমূল নেতা ভদ্রু বর্মন এবং তিলক দাস নাকি তাদের চাকরি দেওয়ার নাম করে অসংখ্য টাকা হাতিয়ে নেয়, কিন্তু পরবর্তীকালে কাউকেই চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। সূত্রের খবর, বহুদিন ধরে অভিযুক্ত দুই নেতার সন্ধান চালালেও তাদের হাতের নাগালে পায়নি চাকরিপ্রার্থীরা।

তবে গতকাল রাতে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের কার্যালয়ের সামনে ভদ্রু বর্মন এবং তিলক দাসকে খুঁজে পায় তারা। এরপরে নিজেদের সমস্ত ক্ষোভ উগরে দেয় অভিযুক্তদের ওপর। অভিযোগ, মারধরের এই ঘটনায় চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগ দেয় অসংখ্য গ্রামবাসী। স্বভাবতই বেধড়ক মার খেয়ে ওই দুই তৃণমূল নেতার অবস্থা যখন গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছায়, সেই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন তৃণমূল নেতা সুব্রত সরকার। পরবর্তীকালে তাঁর হস্তক্ষেপে শান্ত হয় পরিস্থিতি।

সুব্রতবাবু জানান, “আমি সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি। তবে এক্ষেত্রে মারামারি করে সমস্যার সমাধান বেরোবে না। আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করাই একমাত্র রাস্তা।”


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর