বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি, প্রাথমিক টেট, কয়লা কিংবা গরু পাচার মামলা; একের পর এক দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। এর উপর আবার দলের ভেতর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। সবমিলিয়ে ঘরে ও বাইরে যখন বেহাল দশা শাসকদলের, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আবার দলবিরোধী মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো (Srikanta Mahato)। ইতিমধ্যেই তাঁকে দলের তরফ থেকে শোকজ করা হয়েছে বলে খবর।
দুর্নীতি ইস্যুতে একই চাপে রয়েছে তৃণমূল শিবির। এর উপর আবার সম্প্রতি একটি ভিডিও ক্রমশ ভাইরাল হতে থাকে, যেখানে দল বিরোধী মন্তব্য করতে দেখা যায় শালবনির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোকে।
ভিডিওটিতে শ্রীকান্তবাবু বলেন, “সায়নী, মিমি, নুসরত, সায়ন্তিকা এবং জুন মালিয়ারা বর্তমানে লুটেপুটে খাচ্ছে। এরা যদি দলের সম্পদ হয়, তাহলে সেই দল করা যায় না।” এরপরেই তিনি বলেন, “আমি এ প্রসঙ্গে সুব্রত বক্সী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছি। তবে ওনারা বুঝতে চান নি। ওরা খারাপ লোককে ভালো আর ভালো লোককে খারাপ বলে চলে। আমাদের দরকার পড়লে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
সূত্রের খবর, এই ভিডিওটি বর্তমানে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে গিয়েছে আর এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশেই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে শোকজ করা হয়েছে। বর্তমানে দলের পরিস্থিতি যখন শোচনীয়, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এহেন মন্তব্য করা আদতে দলকে আরো বিপদের মুখে ফেলে দিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে শ্রীকান্ত মাহাতোকে নিয়ে অতীতেও একাধিকবার অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। এর আগেও একাধিক ইস্যুতে তাঁকে শোকজ করে দল। আর এবার নুসরত, জুন মালিয়া সহ তৃণমূল নেত্রীদের নিয়ে করা মন্তব্যের জেরেই তাঁকে ফের একবার দলের ক্ষোভের মুখে পড়তে হলো।
এই প্রসঙ্গে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “যদি কারোর কিছু বলার থাকে, তবে সে বলতেই পারে। আমাদের নেতৃত্ব সব দিক বিবেচনা করে এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেয়। প্রয়োজনে দলের নেতৃত্বকে নিজের বক্তব্য জানানো যেতে পারে। কিন্তু প্রকাশ্যে এগুলি বলা দলের ভেতর সমস্যা আরো বাড়িয়ে দেয়।”