বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ইস্যুতে ক্রমশই চড়ছে রাজনীতির পারদ। এবার বিতর্কিত মন্তব্য করে সেই উত্তাপ আরও কিছুটা বাড়ালেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোলা (Trinamool Congress MLA Saokat Molla)। প্রায় একমাস থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, সিরাজ, উত্তমদের শাস্তির দাবিতে ফুঁসছে সন্দেশখালি। তাদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলে এবার লাঠি, ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নেমেছেন সন্দেশখালির মহিলারা। আন্দোলনের প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা। আর এই আবহে সেই মহিলাদের নিয়েই বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূলের শওকত।
ভাঙড়ের শানপুকুর অঞ্চলে তৃণমূলের একটি প্রস্তুতি সভায় হাজির ছিলেন শওকত। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি বলেন, ‘আমি শপথ করে বলতে পারি সন্দেশখালি নিয়ে যে খবর প্রকাশিত হচ্ছে তার ৯০ শতাংশ মিথ্যা। সন্দেশখালিতে প্রতিদিন কলকাতা থেকে পাঁচ হাজার, দশ হাজার, বিশ হাজার লোক ভাড়া করে নিয়ে আসছে বিরোধীরা। এদের মধ্যে যে মেয়েটা ক্যামেরার সামনে ঘোমটা দিয়ে কথা বলছে, পরবর্তীকালে সেই মেয়েটা সিগারেট টানছে।’
আর এই গোটা ঘটনার পেছনে সিপিএম-বিজেপি-র হাত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন শওকত। তার কথায়, “এত বছর ধরে ওই এলাকায় এমন ঘটনা ঘটছে। কেউ ফোনে একটাও ছবি তোলেনি? ১২ বছর ধরে নাকি এলাকায় অত্যাচার চলেছে। ধর্ষণ হয়েছে। কেউ একজন ছবি তুলে পাঠাতে পারেনি মোবাইলে। সবটাই মিথ্যে ঘটনা দেখানো হচ্ছে টিভিতে।’
বিধায়কের কথায়, ‘আসলে সিপিএম ও বিজেপি উস্কানি দিচ্ছে। আমার বিধানসভার গায়ে। সেখানে বিজেপি-সিপিএম মিলেই এই গন্ডগোলগুলো পাকাচ্ছে’। শওকতের দাবি, ‘সন্দেশখালিতে দুটো তিনটে জায়গায় যা একটু গন্ডগোল হচ্ছে। আর সেখানেই কেন্দ্র থেকে বিজেপি লোক পাঠাচ্ছে। এমন ভাব দেখাচ্ছে। তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতেই এসব।’
উল্লেখ্য, এর আগে সন্দেশখালির মহিলাদের ‘বহিরাগত’ বলে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে জোর অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। সম্প্রতি রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু সন্দেশখালি গেলে স্থানীয় মহিলাদের প্রশ্নের মুখেও পড়েন। দুই মন্ত্রীকে মহিলারা প্রশ্ন করে বলেন, কেন দিদি তাদের বহিরাগত বলেছেন। আর সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আসরে শওকত মোলা।