বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের অন্দরে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ চলছে। এরই মধ্যে আবার নতুন করে মাথাড়া দিয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি। সম্প্রতি তৃণমূল চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর (Soham Chakraborty) মন্তব্য ঘিরে আরো একবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে সেই জল্পনা। ডিসেম্বর শীতেও সোহমের করা মন্তব্যের জেরে একেবারে তেতে উঠেছে গোটা নন্দীগ্রাম।
সোহমের (Soham Chakraborty) মন্তব্য ঘিরে তৃণমূলে বিরাট হইচই
এদিন চণ্ডীপুরের একটি সভা থেকে তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty) কারও নাম না নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বসেন। সোহমের কথায়, ‘পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কোন পন্ডিতের পাণ্ডিত্য চলবে না। যিনি পন্ডিত্য ফলাবেন তাকে রাজনৈতিকভাবে অপসারণ করানোর দায়িত্ব আমার।’
এদিন এইভাবেই নাম না করেই কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক স্নেহাংশু পণ্ডিতকে খোঁচা দিলেন চন্ডিপুরের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty) । এদিন তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের জেরে এই গোষ্ঠী কোন্দলের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে তৃণমূলের অন্দরে। একইসাথে সোহম একথাও জানিয়েছেন, ‘তৃণমূল দলে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর পাণ্ডিত্য চলবে’।
চণ্ডীপুরের এই সভা থেকে সোহমের এমন মন্তব্যের জেরে তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দলের জল্পনা আরও একবার মাথাচাড়া দিয়েছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় সোহম এদিন বলেছেন তিনি কারও নাম ধরে কিছু বলেননি। তবে একইসাথে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে এদিন সোহম বললেন, ‘আমি কোন প্রোগ্রামে যাই না নিজের মতো করে প্রোগ্রাম করি’।
আরও পড়ুন: ‘বাড়িতে টাকা এল কোথা থেকে?’ পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার প্রশ্নের মুখে ইডি, চ্যালেঞ্জ মানিকেরও
প্রসঙ্গত সম্প্রতি কণ্টাই সমবায় ব্যাংকের নির্বাচনে যাঁরা জয়ী হয়েছিলেন তাদের সম্বর্ধনা জানানোর উদ্দেশ্যে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন না সাধারণ সম্পাদক স্নেহাংশু পন্ডিত।
সেই সভা থেকেই সোহম চক্রবর্তী এমন উক্তি করায় এদিন নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। স্নেহাংশু বাবু অবশ্য এব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি শুধু জানিয়েছেন ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের সাথে দল করে আসছেন। তাই তিনি দলের সাফল্য কামনা করছেন।