বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের আবহে আরও অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূলের। আগেই এই ঘটনার প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছিলেন জোড়াফুল শিবিরের (Trinamool Congress) রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এবার সোজা ইস্তফার পথে হাঁটলেন জহর সরকার। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
আচমকা কেন ইস্তফা দিলেন জহর (Trinamool Congress)?
জানা যাচ্ছে, রাজ্যসভার সাংসদ পদের পাশাপাশি রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন জহর (Jawhar Sircar)। মমতাকে এই বিষয়ে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন বলে খবর। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ এবং আরও বেশ কিছু কারণের জন্য জহর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
- মমতাকে কী লিখলেন জহর?
তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী লেখা চিঠিতে সদ্য ইস্তফা দেওয়া এই রাজ্যসভার সাংসদ লিখেছেন, ‘গত এক মাস ধরে আমি ধৈর্য ধরে আরজি কর হাসপাতালে নৃশংস ঘটনার বিরুদ্ধে প্রত্যেকের প্রতিক্রিয়া দেখেছি এবং ভেবেছি, কেন আপনি সেই পুরনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র চিকিৎসকদের হয়ে কথা বলছেন না! এখন সরকারের তরফ থেকে যে সকল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা এককথায় খুব কম এবং অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে’।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের পর কি বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? জানুন হাতেগরম আপডেট
এখানেই না থেমে জহর আরও লেখেন, এই প্রতিবাদে (RG Kar Case) রাস্তায় নামা মানুষরা অরাজনৈতিকভাবে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছেন বলে তাঁর বিশ্বাস। তাই রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে দিয়ে এই আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ লেখেন, এনারা কেউ রাজনীতি পছন্দ করেন না। তাঁরা সকলেই শাস্তি এবং ন্যায়বিচারের দাবি তুলছেন। এদিন সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি রাজনীতিকে বিদায় জানানোর কথাও ঘোষণা করেন জহর।
তৃণমূলের (Trinamool Congress) সাংসদ পদ থেকে জহরের ইস্তফা দেওয়া প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ তথা মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘জহর সরকার নরেন্দ্র মোদী বিরোধী মানুষ হিসেবেই পরিচিত। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছেন। তবে অস্বীকার করার উপায় নেই, তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য এবং কর্মদক্ষতা নিয়ে কখনও কেউ প্রশ্ন তোলেনি। ওনার মতো একজন ব্যক্তিত্ব রাজ্যসভা থেকে চলে গেলে, নিঃসন্দেহে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, ভারতীয় রাজনীতি এবং সর্বোপরি রাজ্যসভার জন্য ক্ষতি’।