বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। বর্তমানে অবশ্য রাজনীতি ছাড়াই রয়েছেন। বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার তাঁর তৃণমূলে (Trinamool Congress) ফেরার জল্পনা কানে এসেছে। বহুবার একুশের জুলাইয়ের সমাবেশের আগে শোনা গিয়েছে, ফের দলে ফিরবেন শোভন। তবে প্রত্যেকবার সেই জল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। তবে এবার শোভনের ডিভোর্স মামলায় তাঁর হয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) সওয়াল করায়, ফের একবার তীব্র হয়েছে সেই গুঞ্জন।
তৃণমূল (Trinamool Congress) ছাড়ার পর বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়
আলিপুর আদালতে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ডিভোর্স মামলা চলছিল। তবে ইতিমধ্যেই সেই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট অবধি। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের হয়ে সওয়াল করতে দেখা যায় শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা দুঁদে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার একদা সদস্য শোভন বর্তমানে রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন। বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকেন তিনি। রত্না চট্টোপাধ্যায় আবার বেহালা পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। অন্যদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রবীণ সাংসদ। তাই স্বাভাবিকভাবেই শোভন-রত্নার ডিভোর্স মামলায় তাঁর শোভনের হয়ে সওয়াল করার বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুনঃ ‘উন্নয়ন করতে ব্যর্থ সরকার’! আলাদা রাজ্য হবে উত্তরবঙ্গ? BJP বিধায়কের দাবিতে তোলপাড়
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথমসারির একাধিক নেতা একান্ত আলোচনায় বলছেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যখন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দাঁড়িয়েছেন, তখন তিনি ‘বিনা অনুমতি’তে একাজ করেননি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টিকে জোড়াফুল শিবিরের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রেক্ষিতেও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, তৃণমূল (TMC) ছাড়ার পর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বান্ধবী বৈশাখীকে নিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। একুশের বিধানসভা ভোটের পরেই অবশ্য সেই ‘সম্পর্কে’ চিড় ধরে। আপাতত রাজনীতি ছাড়াই রয়েছে শোভন। তবে এর মাঝে প্রায় প্রত্যেক ভাইফোঁটায় ‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ফোঁটা নিতে দেখা গিয়েছে। মমতা তথা তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব যে ঘুচে গিয়েছে, তা কারোর অজানা নয়।
অন্যদিকে শোভন-রত্নার ডিভোর্সের কথা বলা হলে, কলকাতার প্রাক্তন মেয়রই বিবাহবিচ্ছেদ মামলা দায়ের করেছিলেন। তবে বিচ্ছেদের বিষয়ে শুরু থেকেই অনড় বেহালা পূর্বের তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক রত্না। শোভন বহুবার অভিযোগ করেছেন, ইচ্ছা করে শুনানিতে দেরি করাচ্ছেন রত্না। সম্প্রতি নিম্ন আদালতের একটি নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলাতেই শোভনের হয়ে সওয়াল করতে দেখা যায় কল্যাণকে। এদিন বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। আগামী শুক্রবার ফের শুনানি রয়েছে।