বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বরাবরই বিরোধীদের চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে শিরোনামে উঠে আসেন হুগলীর শ্রীরামপুরের তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (kalyan banerjee)। এমনকি তিনি বিজেপির মহিলা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও তিনি বরাবর চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে এসেছেন। এছাড়াও তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাঁকেও তুমুল আক্রমণ করেছেন।
তবে এবার তিনি শিরোনামে উঠে এসেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) আক্রমণ করে। বলে দিই, দিন কয়েক আগে অভিষেক নিজের মতামত দিয়ে বলেছিলেন যে, করোনার কারণে আপাতত দুমাস যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ থাক। অভিষেকের এই বক্তব্যকে তৃণমূলের সবাই স্বাগত জানিয়েছেন। শুধুমাত্র কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁকে বসেলেন।
বুধবার তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী মন্তব্য করছেন অভিষেক। উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছেন।” কল্যাণবাবু এও বলেন যে, ‘অভিষেক সরাসরি রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন।” কল্যাণবাবুর এহেন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই তৃণমূলের অন্দরেই ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়েছে।
বলে দিই, অভিষেকবাবু করোনার বাড়বাড়ন্তর পর বলেছিলেন যে, বর্ষবিদায়, বর্ষবরণ, বড়দিন নিয়ে এখন মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। আপাতত মানুষ বাঁচাতে হবে। মানুষ বাঁচলে ধর্ম আর রাজনীতি করা যাবে। অন্যদিকে, তৃণমূল সুপ্রিমো বর্ষবরণ, সাগর মেলা নিয়ে বলেছিলেন, ‘এগুলোর সঙ্গে অনেকের রুটি-রুজি জড়িয়ে আছে, মানুষের এই উৎসব কীভাবে বন্ধ করা যায়।” অভিষেকের এই কথাকেই সরকারি বিরোধী মন্তব্য বলে ধরে নিয়েছেন কল্যাণবাবু।
কল্যাণবাবু দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে নিশানা করে এও বলেছেন যে, বর্ষবরণের দিনে ডায়মন্ড হারবারে ফুটবল প্রতিযোগিতা করানো হয়েছিল, মুম্বইয়ের শিল্পী এনে জলসাও করানো হয়েছিল, এতে সংক্রমণ ছড়ায় না?”