বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাম নবমীর (Ram Navami ) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষত হাওড়ার কয়েকটি জায়গায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার ছবি সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদাররা। তাঁরা বলতে শুরু করেছেন যে বাংলায় হিন্দুরা বিপন্ন। শুভেন্দু অধিকারী হাওড়ার হিন্দুদের পরিস্থিতিতে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে তুলনাও করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে টুইটের মাধ্যমে বিজেপিকে তীব্র খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি লিখেছেন, “রাম নবমীর পর হিন্দুরা বিপন্ন, গোটা দেশ জুড়ে এমন ধারণা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। ২০২৪ সালের নির্বাচন অবধি এটা চলবে বলে কটাক্ষ তাঁর। মহুয়া মৈত্র বলেছেন, “এখন দেশ জুড়ে বিজেপি পাকিস্তানের আক্রমণ, বিদেশি শক্তির ভারতবর্ষকে নিশানা করার ন্যারেটিভ প্রচার করছে। সেই কারণে তারা পুরোপুরি হিন্দু কার্ডের উপর নির্ভরশীলতা দেখাচ্ছে।”
The “Hindus are in danger” narrative started full flow by @BJP as of Ramnavami. Will go on till 2024.
Pak attack, Foreign forces targeting India bakwas running slow this time. Only fool-proof fallback is Hindu card.
Jai Maa Kali. Buddhi de maa. Save my country.
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) April 1, 2023
প্রসঙ্গত, রাম নবমীর দিন হাওড়ার কাজিপাড়া ও শিবপুর এলাকায় দুই সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলগুলির মধ্যে শুরু হয়েছে একে অপরকে দোষারোপ করা। যেখানে ঘটনাগুলি ঘটেছে, সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। জানিয়ে রাখি, এ বছর রাম নবমীর দিনে বাংলার পাশাপাশি গোটা দেশ জুড়ে হিংসার ঘটনা ঘটেছে।
Abhishek Banerjee also lies through his teeth. Not just on Ramanavami, but during every Hindu festival, Muslim mobs attack. During Lakshmi Puja also, Dalit families were targeted in Kolkata’s Khidderpore-Mominpur area. Mamata Banerjee’s police remained a mute spectator. Shameful. pic.twitter.com/V5DueYCfeS
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) March 31, 2023
হিংসার ঘটনার খবর মিলেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত থেকেও। বিজেপি-র বিরুদ্ধে এমনিতেই কট্টর হিন্দুত্ব প্রচারের অভিযোগ রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার পর কাকতলীয় ভাবে মুজফফরনগর এবং বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়। তারপর থেকেই এই ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছিল বিজেপি। এ বার হাওড়ার ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। তাঁর অভিযোগ, ঘটনার সুবিচারের বদলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হামলাকারীদের আশ্রয় দিচ্ছেন। এরই প্রতিবাদ হিসেবে টুইট করেছেন। তাঁর দাবি, পাকিস্তান বা বাইরে অন্য কোনও শত্রুর আক্রমণের হিড়িক তুলে বিজেপি সুবিধা করার চেষ্টা করলেও খুব একটা পারছে না। সেই কারণেই হিন্দুদের বিপন্ন দেখানোর পুরোনো কৌশল নিয়েছে তারা।