বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছাব্বিশের ভোটের আগে সম্ভবত শেষ একুশে জুলাই। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তোরজোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার তার প্রস্তুতি সভাতেই সামনে এল তৃণমূলের (Trinamool Congress) দুই সাংসদের দ্বন্দ্ব! ব্যারাকপুরের এমপি পার্থ ভৌমিককে (Partha Bhowmick) নিয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর (Mamata Bala Thakur) বললেন, ও যে বৈঠকে থাকবেন, আমি যাব না!
মমতাবালার মন্তব্যে অস্বস্তিতে তৃণমূল (Trinamool Congress)!
সোমবার গোবরডাঙা টাউন হলে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে একটি সভা আয়োজিত হয়েছিল। সেখানে দাঁড়িয়েই মমতাবালা বলেন, ‘আগের বৈঠকে আমি ছিলাম না। কেন ছিলাম না, সেটা কি আপনারা জানেন?’ এরপরেই ‘কারণ’ খোলসা করেন তৃণমূল নেত্রী। মঞ্চে তখন উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস।
মমতাবালা তাঁর নাম নিয়েই বলেন, ‘বিশ্বজিৎ আমাকে ফোন করে বলেছিল, বৌদি একটা বৈঠক করতে হবে, মঙ্গলবার করি। আমি জানাই, ঠিক আছে। কী জন্য বৈঠক করতে হবে সেটা আমিও জিজ্ঞেস করিনি আর বিশ্বজিৎও বলেনি’।
রাজ্যসভার এই সাংসদ জানান, এই কথোপকথনের ৩০ মিনিটের মধ্যে তাঁর কাছে দিল্লি থেকে ফোন আসে। জানানো হয়, রাজধানীতে যেতে হবে। এরপর তিনি বিশ্বজিৎকে ফোন করে বৈঠক বাতিল করার কথা বলেন বলে দাবি করেন মমতাবালা।
আরও পড়ুনঃ রাস্তা বেহাল! কালীগঞ্জে ভোট চাইতে গিয়ে জনগণের তুমুল রোষের মুখে ফিরহাদ, ভিডিও দেখালেন সুকান্ত
তাঁর কথায়, ‘আমি বিশ্বজিৎকে ফোন করে বলি, আমি দিল্লি থেকে ফিরি, তারপর বৈঠক হবে। কয়েক মিনিটের মধ্যে বিশ্বজিৎ আমায় ফোন করে বলে, পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে আমি কথা বলেছি বৌদি। উনি আমায় বৈঠক করতে বলেছেন। বৌদি থাকলে ভালো কথা, নাহলে দ্বিতীয় বৈঠকে থাকবে’।
তৃণমূল (TMC) নেত্রী জানান, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতির কথা একথা শোনার পর তিনি ব্যারাকপুরের সাংসদকে তিনবার ফোন করেন। মমতাবালা বলেন, ‘পার্থ ভৌমিক কোন দায়িত্বে আছেন আমি জানি না। বিশ্বজিৎ-ও ওনাকে কেন ফোন করল আমার জানা নেই। যদি দায়িত্ব নিতে হয় তাহলে পার্থ ভৌমিক এসে বৈঠক করবেন, আমি সেখানে থাকব না। কারণ, পার্থ ভৌমিক ওখান থেকে বলবেন আর এখানে বৈঠক হবে, আমি সেখানে থাকব সেটা হবে না। এর চেয়ে আমি দলকে বলব, রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাব’।
এই নিয়ে ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদের যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। শুধু বলন, যা বলার বিশ্বজিৎ ভৌমিক বলবেন।
উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। তার আগে দলের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা তৃণমূলের (Trinamool Congress) অস্বস্তি নিঃসন্দেহে বাড়াবে। কয়েকদিন আগেই এই নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার শিরোনামে উঠে এল পার্থ ও মমতাবালার দ্বন্দ্বের কথা।