বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে হটস্পট হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম। একদা নন্দীগ্রাম আন্দোলন করে ক্ষমতায় আসা তৃণমূলের এখন সম্পূর্ণ ফোকাস এই বিধানসভা কেন্দ্রেই। আরেকদিকে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পুরোধা তথা শুভেন্দু অধিকারীও নন্দীগ্রামে জিততে মরিয়া। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু বনাম মমতার লড়াইয়ে জয় কে পাবে, সেটা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে ২ মে পর্যন্ত। কিন্তু তাঁর আগে নিজেদের জয়ের জন্য কে কি করছে, সেটাই দেখার বিষয়।
ছেলে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করে বিজেপিতে গেলেও, বাবা শিশির অধিকারী এখনও তৃণমূলেই আছে। আর তৃণমূল ছেড়ে দেওয়ারও ইঙ্গিত দেননি তিনি। কিন্তু তৃণমূলের তরফ থেকে ওনার ডানা ছাঁটা হয়েছে। আর এরমধ্যে নন্দীগ্রামে ছেলে বনাম তৃণমূল নেত্রীর লড়াই নিয়ে এবার সুর চড়াতে শুরু করলেন কাঁথির প্রবীণ সাংসদ শিশিরি অধিকারী।
সোমবার কাঁথির সাংসদ শিশিরবাবু ধর্মযুদ্ধ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নন্দীগ্রামে ধর্মযুদ্ধ হবে। আমি ধর্মের সঙ্গে রয়েছি। নন্দীগ্রামে খেলা হবে, তবে তা একতরফা খেলা। এই খেলায় শুভেন্দুই জিতবে।” তিনি বলেন, একজন পিতা হয়ে ছেলের পাশে থাকব এটাই স্বাভাবিক। তবে ছেলে হিসেবে বলছি না, নন্দীগ্রামের মানুষ কিন্তু শুভেন্দুকে নেতা হিসেবে বহুদিন ধরেই মেনে আসছে। শুভেন্দু সবকিছু দিয়েছে নন্দীগ্রামকে। ও নিজের জীবনের পরোয়া না করে নন্দীগ্রামের জন্য লড়াই করেছে। নন্দীগ্রামে মুসলিম পরিবার তাঁদের পুত্র সন্তানের নাম রেখেছে শুভেন্দু। এখন কিছু মানুষ উড়ে এসে শুভেন্দুকে মিরজাফর বলছে। এটা কি অধর্ম না?”
শিশির অধিকারী বলেন, শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছে বলে তাঁর লড়াই মিথ্যে হয়ে যায় না। যেই সিপিএম নন্দীগ্রামে অত্যাচার চালিয়েছিল, এখন মমতা বন্দয়োপাধ্যায় সেই বাম-বিরোধী ভোট ভাগাভাগি করতে মত্ত হয়েছে। শিশিরবাবু বলেন, অভিষেকের পাশাপাশি মমতাও শুভেন্দুকে শেষ করতে চায়। আর সেই কারণেই তিনি ভবানীপুর ছেড়ে এখানে এসেছেন।”
তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট পাওয়া নিয়ে বলেন, ‘উনি নন্দীগ্রামের মানুষকে বেইমান বলতে চেয়েছেন। এরকম নাটক অনেক দেখেছি। তবে আমি চাই উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। আমিও দেখতে চাই নন্দীগ্রামে হুইলচেয়ার কোন দিকে গড়ায়।”