৩ ঘণ্টা লাইন দিয়েও মেলেনি ডিম-ভাত! রেগে আগুন TMC কর্মী-সমর্থকরা, একুশে তোলপাড়!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রত্যেক বছরের মতো এবারও একুশে জুলাই বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করেছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। তবে এবারে একটা আলাদা উন্মাদনা চোখে পড়ছে। লোকসভা এবং বিধানসভা উপনির্বাচনে ‘সবুজ ঝড়ে’র পর এই প্রথম এত বড় মাপের সমাবেশের আয়োজন করেছে দল। স্বাভাবিকভাবেই তাই দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন নেতা, কর্মী, সমর্থকরা। তবে এবার তাঁদের একাংশ তিন ঘণ্টা লাইন দিয়ে ডিম-ভাত না পেয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন।

একুশের সমাবেশের আগে রেগে আগুন তৃণমূলের (Trinamool Congress) কর্মী-সমর্থকরা!

শহিদ দিবসের কর্মসূচির জন্য রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। কেউ এসেছেন বাঁকুড়া, কেউ আবার এসেছেন সাগরদিঘি থেকে। এবার তাঁদের একাংশের গলাতেই শোনা গেল ক্ষোভের সুর। একুশে জুলাই মাসে দেদার খাওয়াদাওয়া। ডিম-ভাত থেকে শুরু করে নানান রকম সুস্বাদু পদ থাকে মেনুতে। তবে এবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের আয়োজন নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন জোড়াফুল শিবিরের একাধিক কর্মী-সমর্থক।

   

মেনুতে রয়েছে গরম ভাত, ডিম ভাজা আর সয়াবিন। খাওয়াদাওয়া শেষ করেই সমাবেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা। তবে অভিযোগ, ৩ ঘণ্টারও বেশি লাইন দেওয়া সত্ত্বেও সেই খাবার পাওয়া যায়নি। অনেকে বলছেন, অনেকবার ভাত শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সমস্যা বেড়েছে। তা সত্ত্বেও বিষয়টা দেখা হচ্ছে না।

আরও পড়ুনঃ ‘অবশেষে এবার..,’ শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি শেষ, কী রায় দিল হাইকোর্ট? তোলপাড় রাজ্য

এই প্রসঙ্গে গোঘাট থেকে আসা একজন তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মী বলেন, পাক্কা ৩ ঘণ্টার ওপর লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কিন্তু তাও খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। প্রচুর ঠেলাঠেলি হচ্ছে। চূড়ান্ত অব্যবস্থা। আরেকজন তৃণমূল সমর্থক আবার বলেন, যারা খাবার পরিবেশন করছেন তাঁদের সংখ্যাও বেশ কম। আয়োজনও বেশি হয়নি। সেই জন্য বহু লোক লাইনে দাঁড়ানো সত্ত্বেও খাবার পাচ্ছেন না।

trinamool congress tmc flags

ওই তৃণমূল (Trinamool Congress) সমর্থকের কথায়, লাইনে দাঁড়ানোর পরেও দেখা যাচ্ছে খাবার শেষ হয়ে যাচ্ছে, পাতা শেষ হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার লাইনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন। সেই কারণেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে মত তাঁদের। প্রশাসনের কোনও গলদ নেই। তবে খাবারদাবারের আয়োজন নিয়ে কিছু অভিযোগ থাকলেও সেই খাবার খেতে যে বেশ সুস্বাদু তা মেনে নিয়েছেন সকলেই।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর