বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঘাটালের সাংসদ তিনি। সেই দেবের (Dev) সামনেই সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। আঙুল উঁচিয়ে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেন অভিনেতা-সাংসদ। তবে তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। বাঁশ, লাঠি দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় দেবের একজন অনুগামীর। এবার এই ঘটনায় বড় পদক্ষেপ নিল তৃণমূলের (Trinamool Congress) শীর্ষ নেতৃত্ব।
‘প্রশাসন কেন দেখেনি..?’ ঘাটাল কাণ্ডে প্রশ্ন দেবের (Dev)
জানা যাচ্ছে, ঘাটালে শিশু মেলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত। একদিকে দেবের অনুগামী এবং আরেকদিকে প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুইয়ের অনুগামীরা ছিলেন বলে খবর। সদ্য বিধানসভা উপনির্বাচনে ছক্কা হাঁকানোর পরেরদিনই ঘাটালে এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, আগামী বছর ১৬ থেকে ২৫ জানুয়ারি অবধি ঘাটালে শিশু মেলা আয়োজন নিয়ে ২৮ নভেম্বর দেব (Dev) একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। কিন্তু তার আগে ২১ তারিখেই প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুই বৈঠক করে নেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল সাংসদ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বৈঠকে আমায় ডাকা হয়নি অথবা আমায় জানানো হয়নি। যেদিন হওয়ার কথা ছিল তার একদিন আগে আমি শঙ্করদাকে ফোন করি। আমি সবাইকে নিয়ে বৈঠকটা করার কথা বলি। তবে সকালবেলা উঠে দেখলাম যে একতরফা হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত’।
আরও পড়ুনঃ ভয়ঙ্কর! খাস কলকাতা থেকে গৃহবধু পাচার! এবার বিরাট নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
দেব আরও বলেন, ‘শঙ্করবাবুকে আমি বলি, ওখানে গিয়ে যদি কোনও ঝামেলা হয়, তাহলে কিন্তু তোমার দায়িত্ব। তোমায় এটা টেক কেয়ার করতে হবে’। এদিকে দ্বন্দ্বের এই আবহে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে সব পক্ষ কোলাঘাটে বৈঠকে বসে বলে খবর। এরপর ঘাটালের (Ghatal) অরবিন্দ স্টেডিয়ামে হাজির হন দেব এবং শঙ্কর দু’জনে।
ঘাটালের সাংসদ এবং প্রাক্তন বিধায়ক, দু’জনকেই হাসি মুখে অরবিন্দ স্টেডিয়ামের ভিতর প্রবেশ করতে দেখা যায়। তবে ভেতরে ঢোকার পরেই পরিস্থিতি তেতে ওঠে বলে খবর। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’জনের অনুগামীরা। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন তৃণমূল সাংসদ।
ঘাটালে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের এই ঘটনা নিয়ে দেব (Dev) বলেন, ‘আজ আমি ভীষণ দুঃখিত। আমার ১১ বছরের রাজনীতির জীবনে এমন ঘটনা প্রথম ঘটল। আজ যদি সকাল থেকে ৫০০০ লোক জমায়েত ছিল, তাহলে সেটা প্রশাসন দেখতে পারতো। এখানে আসার পর জানতে পারি সকাল থেকে এটা চলছে। ভেতরে লাঠি রাখা ছিল। তাহলে সেটা প্রশাসন কেন দেখেনি!’