বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি প্রকল্পে একাধিকবার বঞ্চনার অভিযোগ এনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাজ্য। একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আয়ুষ্মান যোজনা কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের আবাস যোজনা (Awas Yojana) রাজ্যের জন্য বরাদ্দ টাকা নিয়ে বারবার সরব হয়েছে তৃণমূল। একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের জন্য বরাদ্দ আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা দেয়নি রাজ্যকে।
বড়দিনের আগেই ঢুকছে ‘বাংলার বাড়ি’র (Awas Yojana) টাকা!
চলতি বছরেই আবাস যোজনা (Awas Yojana) প্রকল্পে নিজস্ব কোষাগার থেকেই এই টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে গত বছরেই দিল্লি চলো কর্মসূচি করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই বাংলার মানুষের জন্য নিজস্ব কোষাগার থেকে টাকা দিয়েই বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেইসাথে জানিয়েছিলেন চলতি বছরেই বড়দিনের আগে বাংলার বাড়ি (Awas Yojana) প্রকল্পের অধীনে প্রথম কিস্তির টাকা পাবেন রাজ্যবাসী। কথা মতোই ১৫ই ডিসেম্বরে প্রত্যেক যোগ্য আবেদনকারী উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢোকার কথা। এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের দেওয়া সাহায্য পাওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন রাজ্যের বহু মানুষ।
টাকা পেয়ে ঘর তৈরির পর তা সেই সমস্ত মানুষজনের জন্য কতটা সুবিধা পাবেন এবার সেটাই এবার সমাজ মাধ্যমের পাতায় তুলে ধরল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলে দক্ষিণ ২৪ পরগণার এক বাসিন্দার সমস্যার কথা উঠে এসেছে। সেই ভিডিও থেকে জানা যাচ্ছে চট্টা রামেশ্বরপুরের বাসিন্দা উসমান গায়েন নাম এক ব্যক্তি বর্তমানে এখন ট্রিপল টাঙানো একটি ঝুপড়িতে থাকেন।
আরও পড়ুন: “এই লড়াইটা আমরা লড়ব….” নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা শুভেন্দু অধিকারীর!
একবার নাকি মাঝরাতে তাদের বাড়ির দেয়াল ভেঙে পড়েছিল। তখন প্রতিবেশীরা এসে তাদের সাহায্য করেছিলেন। শুধু তাই নয় যে এলাকায় ওই ব্যক্তি থাকেন সেখানকার অধিকাংশ মানুষই প্লাবনের সময় ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েন। তাই এবার ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের তালিকায় তার নাম ওঠায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন তিনি।
গত মাসেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের তালিকায় মোট ১১.৩৬ লক্ষ জনের সঙ্গে আরও ১ লক্ষ মানুষের নাম যুক্ত করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘অনেক মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নিজেদের ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। ১২ লক্ষেরও বেশি বাড়ির জন্য প্রথম কিস্তির টাকা বিতরণ করার জন্য রাজ্য তহবিল ব্যবহার করা হবে । ১৫ ডিসেম্বর থেকে টাকা বিলি শুরু হবে।’