বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালির পর ভূপতিনগর। লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে ফের কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলা। যদিও তৃণমূল (Trinamool Congress) শিবিরের তরফ থেকে পাল্টা আঙুল তোলা হয়েছে এনআইএ-র (NIA) দিকে। বিজেপির সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোপন আঁতাতের অভিযোগ অবধি এনেছে রাজ্যের শাসক দল। এবার এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল।
রবিবার তৃণমূল ভবনে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেন কুণাল ঘোষ এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানেই একটি কাগজ তুলে ধরে দাবি করা হয়, গত মার্চ মাসে এনআইএ এসপি ধনরাম সিংয়ের বাড়িতে বিজেপি (BJP) নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি একটি বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকের হাতে তৃণমূল (TMC) নেতাদের একটি নামের তালিকা ধরিয়ে দেন বিজেপি নেতা।
এখানেই শেষ নয়! সেই তালিকায় যে যে তৃণমূল নেতার নাম রয়েছে নির্বাচনের আগে তাঁদের গ্রেফতার করার কথাও বলা হয়। তৃণমূল শিবিরের দাবি, বৈঠকের পর ধনরাম সিংয়ের হাতে একটি সাদা রঙের প্যাকেট ধরান জিতেন্দ্র। সেই প্যাকেটে টাকা ছিল কিনা তা পুলিশি তদন্ত করে দেখা হোক, দাবি তুলেছে রাজ্যের শাসক দল।
আরও পড়ুনঃ ‘সাদা প্যাকেটে মুড়ে টাকা নিয়েছে’, ভূপতিনগর কাণ্ডে NIA-র বিরুদ্ধে অভিযোগ কুণালের, ফাঁস করবেন ভিডিও?
এদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূলের সকল দাবি নস্যাৎ করেছেন। কোনও এনআইএ (National Investigation Agency) আধিকারিকের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে এটা প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব এমন দাবিও করেন তিনি। একইসঙ্গে বলেছেন, ৭ দিনের মধ্যে তৃণমূল যদি তাঁর কাছে ক্ষমা না চায় তাহলে মানহানির মামলা করবেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার সকাল থেকেই ভূপতিনগর কাণ্ড (Bhupatinagar Case) নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার গভীর রাতে ভূপতিনগর বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে ভূপতিনগরে হাজির হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। তবে দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ই বাঁধে বিপত্তি।
দুই তৃণমূল নেতাকে গাড়িতে তোলার পর একদল গ্রামবাসী বাঁশ, লাঠি নিয়ে তাঁদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এদিকে আবার এক তৃণমূল নেতার পরিবারের তরফ থেকে এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। এসবের মাঝেই জানা গেল, শীর্ষ আদালতে যাচ্ছে তৃণমূল।