বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তাজ্জব কাণ্ড মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভগবানগোলায়। বিডিও অফিস রয়েছে, তবে বিডিওর (BDO) চেয়ারে ঠাঁই নেই খোদ বিডিওর। তার পরিবর্তে সেই চেয়ারে বসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে বৈঠক করছেন বিধায়ক ইদ্রিশ আলি (MLA Idris Ali)। বৈঠকের সময় সামনে হাজির ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। শাসকদলের বিধায়কের এই কাণ্ড ঘিরে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের সমস্ত থানা ও বিডিও অফিসগুলির দখল নিয়ে রেখেছে তৃণমূল, এহেন অভিযোগ বারংবার উঠে এসেছে বিরোধীদের কাছ থেকে। আর এবার যেন সব অভিযোগেরই প্রমান মিললো। বিডিওকে নিজের চেয়ার থেকে সরিয়ে সেখানে আয়েস করে বসে ‘দলীয়’ বৈঠক চালাচ্ছেন ইদ্রিশবাবু। তবে কি এবার রাজ্যের বিডিও অফিসগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কার্যালয়ে পরিণত হতে চলেছে? এই প্রশ্নই এখন উঠছে সর্বত্র।
বিডিওর চেয়ারে বিধায়ক! এও সম্ভব পশ্চিমবঙ্গে? প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকের নেতাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে যোগদান করেন বিধায়ক ইদ্রিশ আলি ও প্রাক্তন বিধায়ক চাঁদ মহম্মদ সহ ব্লকের আরও ১০ জন নেতা। সেই ‘দলীয়’ বৈঠক করতেই ব্যবহার করা হয়েছে বিডিওর ঘর, তার চেয়ার এমনকি তার ল্যাপটপও।
মঙ্গলবারের এই বৈঠকের যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও ওয়ারিশ খানের দফতরে বসে তার চেয়ারে বসে বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছে তখন। ঘরে হাজির দলের অন্যান্য সদস্যরা। আর বিডিও , সে কোথায়? খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায় বিডিও তখন চুপটি করে বসে রয়েছেন নিজের দফতরের বাইরে।
ঘটনার চিত্র প্রকাশ্যে আসতেই অবশ্য এই নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল বিধায়ক। সাফাই দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভিডিও কনফারেন্সিং করার মতো পরিকাঠামো পার্টি অফিসে নেই। তাই বিডিও দফতর থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে যোগদান করেছি। এখানে ইন্টারনেটের স্পিড বেশি। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ারও ভয় নেই।’
অন্যদিকে, এই বিষয়ে স্থানীয় বিডিও ওয়ারিশ খান বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল প্রশাসনিক বৈঠক। তাই আমি আমার ব্যক্তিগত ল্যাপটপ বিধায়ককে ব্যবহার করতে দিই। এর পর আমি কিছু কাজে বেরিয়ে যাই। ফিরে এসে দেখি আমার ঘরে আরও অনেক লোক বসে রয়েছে। তখন জানতে পারলাম ওরা বৈঠক করছেন। তার মাঝে তো আর তোলা যায় না।’