বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চোটের ধাক্কা কাটিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গত ৩১ মার্চ কৃষ্ণনগরের জোড়াফুল প্রার্থী মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভা করেন তিনি। আজ উত্তরবঙ্গে দু’টি সভা করার কথা আছে তাঁর। এই মুহূর্তে কোচবিহারের (Cooch Behar) মাথাভাঙায় সভা করছেন মমতা। এরপর যাবেন জলপাইগুড়ির মালে।
আজ কোচবিহারের সভার (Cooch Behar Public Meeting) শুরু থেকেই কেন্দ্রকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও দেবাশিস ধরকে বিজেপির (BJP) টিকিট দেওয়া নিয়ে সুর চড়ান তিনি, কখনও আবার সিএএ নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রসঙ্গে কথা বলার সময় মমতা বলেন, সিএএ হল মাছের মাথা, আর ল্যাজা হল এনআরসি। কোনও সিএএ-এনআরসি হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিনের সভা থেকে আবার ‘***’ও বলে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। এরপর অবশ্য তা ফিরিয়ে নেন। তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, রাগের বশে তাঁর মুখ থেকে সেই শব্দ বেরিয়ে গিয়েছে। তবে পরে সেই শব্দ ফেরত নিয়ে নেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ নদিয়ায় খুন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী! কাঠগড়ায় CPM ও কংগ্রেস, শোরগোল রাজ্যে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু নন, আজ কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও সভা রয়েছে। মাথাভাঙার সভা থেকে তা নিয়েও খোঁচা দেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রাক্কালে ‘কুহু কুহু’ করে এসেছে কুমিরের কান্না কাদবেন। জিজ্ঞেস করবেন, আবাস যোজনার জন্য রাজ্য সরকার যে ১১ লাখ নাম পাঠিয়েছিল সেটার কী হল? ১০০ দিনের কাজের টাকারও বা কী খবর?
এখানেই না থেমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেউটে সাপকে বিশ্বাস করা গেলেও, বিজেপিকে বিশ্বাস করা যায় না। মমতার কথায়, কেউটে সাপকেও সাপুড়েরা পোষ মানাতে সক্ষম হয়। তবে বিজেপি এমন একটি দল যাকে কখনও বিশ্বাস করা যায় না।
সম্প্রতি ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা ফেরানোর যে প্রতিশ্রুতি মোদী দিয়েছেন তা নিয়েও মুখ খোলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, কত টাকা করে দেবেন? ২১ টাকা করে মিলবে? ২১ টাকা চাই নাকি বাংলা এবং দেশকে বাঁচাতে চান এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। এরপর কোচবিহারের জোড়াফুল প্রার্থীকে ‘হিরে’ তকমা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, আমার মুখটা মনে করে ভোট দেবেন। আর ভোট দেওয়ার পর বলবেন জয় বাংলা।