বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবশেষে ফুটল জোড়াফুল। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গড়ে পুনরায় একবার অব্যাহত রইলো সবুজ ঝড়। অতীতে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথি (Kanthi) এবং নন্দীগ্রাম (Nandigram) সমবায় সমিতি নিজেদের দখলে করে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) আর এবার ময়নাতেও (Moyna) জয়লাভ করলো তারা। সবচেয়ে বড় কথা, নির্বিঘ্নে এবং শান্তিপূর্ণভাবেই আয়োজিত হয় নির্বাচন, যার ফল প্রকাশের পর ইতিমধ্যেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছে শাসক কর্মী সমর্থকরা।
অতীতে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি এবং নন্দীগ্রাম সমবায় সমিতি নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ ভোটে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। কয়েকদিন পূর্বে অবশ্য নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া নির্বাচনে ঘটে উলট পুরান! শাসককে পরাস্ত করে ক্ষমতায় বসে ভারতীয় জনতা পার্টি। এরপর থেকেই জল্পনা উঠতে শুরু করে, তবে কি সমবায় ভোটগুলিতে শাসকের নিয়ন্ত্রণ কম হতে চলেছে?
তবে এদিন এ সকল জল্পনা উড়িয়ে ফের একবার অব্যাহত রইল সবুজ ঝড়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ময়না ব্লকের দক্ষিণ ময়না সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে মোট ১২ টি আসনের মধ্যে ১২ টি-তেই জয়লাভ করল তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে আগেই একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় ছিনিয়ে নেয় ঘাসফুল শিবির। গতকাল বাকি ১১ টি আসনে নির্বিঘ্নে এবং শান্তিপূর্ণভাবেই হয় নির্বাচন। এক্ষেত্রে দক্ষিণ ময়না সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে মতদান করেন মোট ৯২৮ জন গ্রামবাসী। ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, ১১ টি আসনের মধ্যে ১১ টি-তেই জয়লাভ করেছে তৃণমূল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়লাভ বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে শাসকদলের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসে চলেছে, তাতে অস্বস্তি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন পূর্বে ভেকুটিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিজেপির নিকট পরাজিত হওয়ায় আরো বেকায়দায় পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে এদিন ময়না সমবায় সমিতিতে জয়লাভ তাদের আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বৃদ্ধি করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূলের জয় প্রসঙ্গে এদিন ময়না বিধানসভার চেয়ারম্যান সংগ্রাম কুমার দোলুই বলেন, “এই জয় আমাদের কাছে অনেক বড়। মানুষ প্রমাণ করলো যে, তারা আমাদের দলের সঙ্গে রয়েছে। এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জয়।”
যদিও অপরদিকে শাসকদলের জয়ের নেপথ্যে তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই দাবি বিজেপির। এদিন বিজেপি নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এলাকার মানুষকে ক্রমাগত ভয় দেখিয়ে চলেছে তৃণমূল। মিথ্যে মামলা করে জেলে পাঠানোর হুমকি দেখাতে থাকে আর এই সকল কারণেই জয় পেয়েছে তারা। তবে আমাদের বিশ্বাস, সঠিক সময়ে এলে সঠিক জবাব দেবে মানুষ।”
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা