বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে জেলায় জেলায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। কোথাও জ্বলেছিল পার্টি অফিস, আবার কোথাও রাস্তা বন্ধ করে দেখানো হয়েছিল প্রতিবাদ। সেই ছবি দেখা যাচ্ছে এবারের পুরসভার নির্বাচনেও। ১০৮টি পুরসভার মধ্যে ১০৭টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল।
প্রথমবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই দেখা যায় তুমুল বিভ্রাট। যদিও, পড়ে তা শুধরে নিয়ে স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবং তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সেই নিয়ে বিবৃতিও দিতে দেখা যায়। এও শোনা যায় যে, তৃণমূলের অফিসিয়াল পেজ থেকে ভুল তালিকা প্রকাশ করার জন্য পার্থবাবু ও প্রশান্ত কিশোরের মধ্যে বাগবিতণ্ডাও হয়েছে।
তবে, নতুন সংশোধিত প্রার্থী তালিকা নিয়েও তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ কম নয়। শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, পরিবারতন্ত্র চলবে না। কোনও বিধায়ককে টিকিট দেওয়া হবে না। ওদিকে কলকাতার পার্শ্ববর্তী এলাকায় মদন মিত্র সহ তৃণমূলের আর দু’একজন বিধায়কের আত্মীয়রা টিকিট পেয়েছেন। এছাড়াও, কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে একাধিক বিধায়ক এবং তাদের পরিবারের লোকজনও টিকিট পেয়েছিল। এখন প্রশ্ন এটাই উঠছে যে, তাহলে কী তৃণমূলের নিয়ম কলকাতা আর বাকি জেলার জন্য আলাদা?
শুক্রবার রাত থেকেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে। জেলায় জেলায় জ্বলছে আগুন। এমনকি রাজ্যের মন্ত্রীর বাড়িতেও সেই বিক্ষোভের ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির বাড়ির সামনে শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দুদিন আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া দলবদলুদের টিকিট দিয়ে মূল কর্মীদের উপেক্ষা আর তাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। তৃণমূল কর্মীরা এও অভিযোগ করেন যে, শুভেন্দুর কারসাজিতেই এসব হচ্ছে। দলবদলুরা ভোটে জিতে আবারও বিজেপিতে ফিরে যাবে।
তবে শুধু কাঁথি বা মেদিনীপুর নয়। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। চারিদিকেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। পুরসভা ভোটের আগে এই ক্ষোভ তৃণমূলের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও, শীর্ষ নেতৃত্বরা দাবি করেছেন যে, খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।