ফের কাটমানি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। গত বছর এই কারনে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছিলো। আর নীলরতন সরকার হাসপাতাল এবং আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের গেটের সামনে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী দে-কে উদ্দেশ করে কাটমানি নিয়ে হোর্ডিং ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বুধবার তাকে উদ্দেশ্য করে এই কাজ করা হয়েছে।
তাকে উদ্দেশ্য করে ঝোলানো প্পস্টারে লেখা হয় যে সে কিভাবে তার স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি বাড়িয়েছেন। পাশাপাশি কাউন্সিলর হোয়ার পরে খুব সাধারন পরিবারের সদস্য হয়ে সে কি করে এতো টাকার সম্পত্তি পেলো, এবং তা কোথা থেকে পেলো সেই নিয়ে চলেছে একাধিক বিষয়। কিন্তু এতো কিছুর পরেও হোর্ডিংয়ে যে সম্পত্তির কথা বলা হচ্ছে, তা তাঁর নয় বলেই জানিয়েছেন কাউন্সিলর মৌসুমী দে।
সৌজন্যে কাটমানি, কলকাতা টু মন্দারমনি’। সেই হোর্ডিংএ ছবি দিয়ে কোথায় কোথায় তাঁর সম্পত্তি রয়েছে, তা দেখানো হয়েছে। সুরি লেন এবং সার্পেন্টাইন লেনে তিনি একের পর এক বাড়ি নিজের দখলে করেছে। কোথায় কোথায় কোন এলাকা তার দখলে আছে তার অভিযোগ জানানো হয়েছে পোস্টারে।খুব সাধারন পরিবারে জন্ম হওয়ায় তারা এতো সম্পত্তি কোথা থেকে পেলো সেই নিয়ে খোজ নিতেই জানা গিয়েছে, পাড়ার লোকেরা জানিয়েছে ২০১০ সালে তিনি প্রথমবার কাউন্সিলর হন। তার বাবা খুব সাধারন চাকরি করতেন।
আর কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকেই তার টাকা পয়সার পরিমান বাড়তে থাকে। আর মাত্র ১০ বছরেই তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ নাকি ব্যাপক ফুলে ফেঁপে উঠেছে। আর এছাড়াও দফায় দফায় এবং নামে-বেনামে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে তাঁর, অভিযোগ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দার। কিন্তু কাউন্সিলর মৌসুমী দে জানান এই কাজ কে করেছে তা জানা যায়নি । তিনি ভাবলেশহীনভাবে জানিয়েছেন, “রাতের অন্ধকারে কারা এ কাজ করেছে, তা কী করে বলি বলুন তো? এ রকম ঘটনা এই প্রথম নয়। আগেও এ রকম পোস্টার পড়েছিল।