ছবি নেতাজির, আর নাম তৃণমূল নেতার! রিষড়ার ঘটনায় হইচই সোশ্যাল মিডিয়ায়

বাংলা হান্ট ডেস্ক : নেতাজি জয়ন্তী (Netaji Subhash Chandra Bose) উপলক্ষে ফের একবার বিতর্কে জড়ালো রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal)। সুভাষচন্দ্র বসুর ছবির তলায় তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম দেখে রেগে কাই রাজ্যবাসী। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ‘ছাপার ভুল’ বলে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করলেও বিরোধীরা তা শুনতে রাজি নয়। ঘটনাটি ঘটেছে রিষড়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে।

সূত্রের খবর, গত শুক্রবার রিষড়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে সুভাষ নগর এলাকায় সাধারণত্ব দিবস পালন করা হয় শাসকদলের তরফে। উদযাপন করা হয় তৃণমূল কার্যালয়ের সামনেই। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে মাল্যদান করা হয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবির সামনে। আর এই ছবিকে নিয়েই শুরু হয়েছে যত জল্পনা। ছবির নিচে বেশ‌ স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে ‘শ্রী কিশোর ঘোষ (পৌর সদস্য)’।

ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল নেটপাড়ায়। যদিও তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এটি মূলত ছাপার ভুল। ইচ্ছাকৃতভাবে নেতাজির ছবির নিচে নিজেদের নাম লেখানো হয়নি। এইদিন রিষড়া শহর সভাপতি তথা পুরসভার কাউন্সিলর মনোজ সাউয়ের দাবি, ’আমরা হোর্ডিং ছাপাতে দিলে প্রচারকের নাম তলায় লিখতে বলি। এক্ষেত্রেও তাই শুধু প্রচারকটা লেখা হয়নি।’

আরও পড়ুন : খড়্গের ফোনই ধরলেন না, রবিতেই মিলবে বড় খবর? নীতীশের ঘরওয়াপসি নিয়ে মিলল নয়া আপডেট

যদিও বিষয়টা নজরে আসার পর আর সেই ছবি লাগানো ঠিক হয়নি বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। তবে তৃণমূলের তরফে এমন ভুল প্রথম নয়। এর আগে ২০১৯ সালে মনীষীদের ছবির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি রাখা নিয়ে বেশ ভালোরকম বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সেবার ঘটনাটি ঘটেছিল পান্ডুয়ার শশীভূষণ সাহা উচ্চ বিদ্যালয়ে।

আরও পড়ুন : খতম দোস্তি! ফোন বন্ধ বিহার কংগ্রেস বিধায়কের! নীতিশের সঙ্গেই পালাবদল? বিপাকে রাহুল-সোনিয়া

nitish kumar

বিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে মনীষীদের সাথে একই সারিতে রাখা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। ছবি ভাইরাল হতেই সোশ্যালে অভিযোগ ওঠে, ‘এগুলো মনীষীদের অপমান ছাড়া আর কিছু নয়।’ কেউ প্রশ্ন তোলে, ‘মুখ্যমন্ত্রী কি নিজেদের মনীষীদের সমতুল্য বলে মনে করেন?’ একই সাথে বিরোধীরাও কটাক্ষ করে এই বিষয় নিয়ে। আর এবার বিরোধীদের কটাক্ষ, ওরা (তৃণমূল) নিজেদের নেতাজি মনে করে। যদিও তৃণমূলের পালটা দাবি এটি ‘ছাপার ভুল’!

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর