বাংলাহান্ট ডেস্ক : সারদা কেলেঙ্কারিতে (Sarada Scam) সাড়ে ছয় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ঘটনার পর তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে সিপিএম (CPIM) ও কংগ্রেসের (Congress) অন্দরমহলে। কারণ চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার প্রমাণ হিসেবে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এই সম্পত্তিগুলি। যে সকল ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনী চিদম্বরম। অন্যদিকে রয়েছেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক দেবেন বিশ্বাস।
তৃণমূল অনেক আগে থেকেই দাবি করে আসছে সারদা-রোজভ্যালির মতো চিটফান্ডের জন্ম ও বিস্তার বামফ্রন্ট আমলেই। এছাড়াও বিভিন্ন তদন্ত মারফত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পেরেছে পরোক্ষভাবে বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে বামেদের সাথে যোগসাজোস ছিল এই বেআইনি আর্থিক সংস্থাগুলির। সম্প্রতি ইডির পক্ষ থেকে এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ঘটনা সামনে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে বাম ও কংগ্রেস।
নলিনী চিদম্বরমের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে কংগ্রেস যুক্তি দিয়ে বলেছে, উনি শুধুমাত্র ওনার ফি নিয়েছেন সারদার থেকে। ইডি সেই অর্থ ফেরত নিয়েছে। তবে তৃণমূল পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেছে, সারদা থেকে সাংবাদিক হিসেবে পাওয়া বেতন ফেরত দেওয়ার পরেও যদি কেউ কালিমালিপ্ত হন তবে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশীদার হিসেবে কেন নলিনী চিদম্বরমকে জেলে ঢোকানো হবে না?
অন্যদিকে সিপিএম বিধায়ক দেবেন বিশ্বাসকেও কেন গ্রেফতার করা হবে না সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। রোজভ্যালি ও সারদার এজেন্ট ইউনিয়নের নেতা ছিলেন প্রয়াত সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। অন্যদিকে সারদার ইউনিয়নের সভাপতি হওয়ায় দীর্ঘদিন জেলবন্দি অবস্থায় থাকতে হয় তৃণমূল নেতা মদন মিত্রকে। এবার এই প্রসঙ্গ তুলেই তৃণমূলের সওয়াল যে সকল বামফ্রন্টের নেতারা চিট ফান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন তাদেরকে গ্রেফতার করা হোক।