বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে একপ্রকার দল বেঁধেই একঝাঁক তৃণমূল (tmc) নেতা, মন্ত্রী, বিধায়করা গিয়ে নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপি (bjp) শিবিরে। বাংলায় নতুন সরকার গড়ে তোলার কান্ডারি হওয়ার আশায়, নতুন দলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই পরিষ্কার হয়ে যায়, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়ার সকল আশা ৭৭-ই আটকে যায় পদ্ম শিবিরের।
এরপর দেখা যায় যেসকল দলবদলুরা ভোটের পূর্বে সারি বেঁধে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, এখন তারাই গেরুয়া আভা ছেড়ে আবারও সবুজ আলোয় ফিরে যাওয়ার জন্য উৎসুক হয়ে রয়েছেন। সোনালী গুহ থেকে দীপেন্দু বিশ্বাস, মোহ ভাঙতেই আবারও মুখ্যমন্ত্রীর আশ্রয়ে ফিরতে চাইছেন দলবদলু নেতারা। তবে এখন প্রশ্ন একটাই- এখন কি তাঁদের ফিরিয়ে নেবে তৃণমূল?
বাংলার মসনদে আবারও ফিরে আজই প্রথম সাংগঠনিক বৈঠকে বসছে তৃণমূল শিবির। দুপুর ২ টোয় প্রথমে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে ১৮ জনকে নিয়ে, আর তারপর সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতিদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক হবে ৩ টে থেকে। জানা গিয়েছে, আজকের এই বৈঠকেই ‘দলবদলুদের’ ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে।
তবে কিছুদিন আগেই সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছিলেন, আগামী ৬ মাস কোন দলবদলুদের ঘরে ফেরান হবে না। আবার তৃণমূলের একাংশের মত, দল ছেড়ে যারা বেরিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা দলের প্রতি তাঁদের ক্ষোভ বিদ্বেষ সমস্ত কিছু উগরে দিয়েছিলেন। তাই এখন তাঁরা আবারও দলে ফিরলে, দলের প্রতি নিষ্ঠাবান কর্মীদের মনোবল ভেঙে যেতে পারে। ভুল বার্তা যেতে পারে তাঁদের কাছে।