মেয়ের প্রেম না মানায় TMC নেত্রী ও তাঁর স্বামীকে কাঠারি দিয়ে কোপাল প্রেমিক! রক্তাক্ত শীতলকুচি

বাংলা হান্ট ডেস্ক : মর্মান্তিক ঘটনা! পাশের গ্রামের যুবকের সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর ঘনিষ্ঠতা। সমস্ত জেনে ফেলেছিল মেয়েটির পরিবার। তাঁদের সম্পর্কটা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি বাবা মা।  আর সেই কারণেই তৃণমূল নেতার (TMC Leader) বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল মেয়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে। নিহত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামী। আহত হন প্রেমিকা ও তাঁর দিদিও।

হাড়হিম করা এই হত্যাকাণ্ড ঘটে শীতলকুচির হসপিটাল পাড়া এলাকায়। মৃত নিলীমা বর্মন শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। তাঁর স্বামী বিমল চন্দ্র বর্মন তৃণমূলের এসসিএসটি ওবিসি সেলের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে।

শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ এই ঘটনার ঘটে। এর পরই এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে ওই দম্পতির মেয়ে ইতি বর্মন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল পাশের গ্রামের যুবক বিভূতি রায়ের সঙ্গে। যা নিতে তীব্র আপত্তি ছিল তার বাবা-মা দুজনেরই। বেশ কিছুদিন ধরে তাঁদের পরিবারে এই নিয়ে অশান্তিও চলছিল।

tmc

অভিযোগ,  শুক্রবার ভোরে বিভূতি হাতে একটি ধারালো কাঠারি নিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। অতর্কিতে হামলা চালাতে শুরু করে সে।  প্রেমিকার মাকেই সবার আগে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এরপর আক্রমণ চালায় বাবার উপর। বাধা দিতে গিয়ে আহত হন প্রেমিকা ও তার দিদিও। একাধিকবার নৃশংসভাবে কোপানো হয়েছে বিমল বর্মন ও তাঁর স্ত্রী নিলীমাকে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে যতক্ষণে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘরে ঢোকেন, ততক্ষণে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন দুজনই।  স্থানীয় বাসিন্দারাই গিয়ে অভিযুক্ত যুবককে ধরে ফেলেন। তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘হঠাৎ করেই ভীষণ চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়েছিলাম। আমরা প্রথমটায় বুঝতেই পারিনি। যখন দৌড়ে যাই, দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন ওঁরা। উদ্ধার করে তাড়াতাড়়ি হাসপাতালে নিয়ে যাই।’

Sudipto

সম্পর্কিত খবর