বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন পর আবারও সংবাদের শিরোনামে উঠলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। বীরভূমের এই তৃণমূল জেলা সভাপতি নিজেই কিনা অন্যকে শুটিয়ে লাল করে দেওয়ার হুংকার দেন, এবার তাকেই শুনতে হল দেখে নেওয়ার হুমকি। বিরোধী কোন নেতা নয়, নিজের দলেরই এক নেতার থেকে শুনতে হল টাকা না ফেরত দেওয়ার হুমকি।
মঙ্গলবার দুপুরে গুসকরা শহরের স্কুলমোড় এলাকা থেকে গুসকরা পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অনুব্রত মণ্ডলকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর দাবি, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ২০ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে বেমালুম চেপে গেছে অনুব্রত মণ্ডল। এখন আর ফেরত দেওয়ার নাম নিচ্ছে না।
এখানেই ক্ষান্ত হলেন না তৃণমূল নেতা নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তাঁর যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিয়ে বললেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর থেকেও নিজেকে বড় বলে ভাবছে কেষ্ট মণ্ডল। কদিন আগেই তো হাটে মাগুর মাছ বেচতে যেত। আমরা বুঝি না এই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কিভাবে হল? কি করেই বা ওনার মেয়ে একসঙ্গে দু জায়গায় চাকরী করতে পারে?’
গ্রেপ্তার হওয়ার পরও বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের। উল্টে জোর গলায় বলে চললেন, ‘ওঁকে বিপদের সময় আমি টাকা ধার দিয়ে সাহায্য করলাম। আর এখন কিনা প্রমাণ চাইছে। যেদিন জামিনে ছাড়া পাব, সেদিনই গিয়ে আগে কেষ্টর কলার ধরব’।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে অনুব্রত মন্ডল জানিয়েছেন, ‘আমি ওঁর থকে কোনদিনই কোন টাকা ধার নিই নি। নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের কাজই হল সবাইকে হুমকি দিয়ে বেড়ানো। এমনকি ওঁরা কাছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্রও আছে। কিন্তু বিনা লাইসেন্সের আগ্নেয়াস্ত্র আছে বলে সকলে হুমকি দেয়। পাগলামো যত সব’।