বাংলাহান্ট ডেস্ক : সিবিআই (Central Bureau of Investigation) ইতিমধ্যেই হদিশ পেয়েছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের। তদন্তকারীরা শুক্রবার গ্রেফতার (Arrest) করেছেন এই টাকা তোলার দায়িত্বে থাকা ছয় এজেন্টকে। এদেরই মধ্যে একজন হলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার বাসিন্দা কৌশিক ঘোষ। সূত্রের খবর, ধৃত কৌশিক মোটা মাইনের চাকরি করতেন কেন্দ্রীয় সংস্থায়। সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি হয়েছিলেন চাকরি বিক্রির দালাল।
বড়ঞার তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৌশিকের। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জীবনকৃষ্ণ সাহার সমস্ত ব্যানার ও ফেস্টুন এ কৌশিকের নাম থাকত। এরই সাথে বিধায়কের সঙ্গে কৌশিকের একাধিক ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্থানীয়দের দাবি কৌশিক এর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে জেলার আরও এক বিধায়ক জাকির হোসেনেরও।
স্থানীয়রা বলছেন, কৌশিক ঘোষ এলাকায় রীতিমতো পুলিশ কর্তার মেজাজে চলাফেরা করতেন। গাড়ি ছাড়া কোন দিন কেউ তাকে বের হতে দেখেনি। এমনকি চাকরির জন্য টাকা জমা দিতে তার বাড়ির সামনে লাইন লেগে যেত। তিনি অবৈধভাবে চাকরি দিয়েছেন বড়ঙার বহু যুবক-যুবতীকে।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ একটি তেল সংস্থায় কৌশিক মোটা বেতনের চাকরি করতেন। এরপর রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসলে তিনি সেই চাকরি ছেড়ে শুরু করেন চাকরি বিক্রির কাজ। সূত্রের খবর, তিনি তার অধীনে বহু যুবককে কাজ দিতেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, কৌশিক নিজেকে প্রবল ক্ষমতাশালী বলে মনে করতেন। এমনকি বিজেপি সমর্থকদের মাটিতে পুঁতে দেওয়ার হুমকিও দিতেন তিনি!
জীবনকৃষ্ণ সাহা কৌশিকের সাথে তার ঘনিষ্ঠতার কথা অবশ্য অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, যে কেউ প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে পারে। তার জন্য প্রার্থীর অনুমতির প্রয়োজন হয় না। এরই সাথে তার আরও দাবি, আমি জনপ্রতিনিধি। আমার সাথে ছবি তুলতে চান বহু মানুষ। সেই ছবি কখনোই ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ দেয় না।