বাংলা হান্ট ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়ন (Industry in West Bengal)! এটি একটি রীতিমতো বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, যেদিন সিঙ্গুর (Singur) থেকে টাটাকে ফিরে যেতে হয়েছে সেদিন থেকেই বাংলার শিল্প বিষয়টি যেন এক ধোঁয়াশার পরিণত হয়েছে। এবার এই বিষয়কেই ফের সর্বসমক্ষে তুলে ধরার জন্য বিশেষ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলা হান্ট। সেই অনুষ্ঠানে শিল্প সংক্রান্ত বিতর্ক সভায় অংশ নেন বঙ্গের তাবড় রাজনীতিবিদরা।
বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করতে যেমন হাজির হন গেরুয়া নেতা সজল ঘোষ, তেমনই তৃণমূলের মুখ হিসাবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য ও ইন্দ্রানী মিশ্রর মতো নেতানেত্রীরাও। নিরপেক্ষ ভাবে এই সভায় যোগ দেন বাংলাপক্ষের গর্গ চট্টোপাধ্যায়।এই বিতর্ক সভায় নিজের মতামত বলিষ্ঠ ভাষায় উপস্থাপন করেন ইন্দ্রানী।
এদিন তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে শিল্প আসছে। বাংলায় এখনও বৃহৎ শিল্প না এলেও স্থানীয় শিল্প আরও সুসংগঠিত হয়েছে।’ তিনি তাঁর বক্তব্যে তুলে আনেন দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের কথা। এই প্রসঙ্গে কাঠগড়ায় তোলেন বাম শাসনকে।
ইন্দ্রাণী বলেন, ‘৮০’র দশকে একটার পর একটা শিল্প বন্ধ হয়ে যায়। হাজার হাজার পরিবার ধ্বংস হয়ে। পড়াশুনো থেমে যায় ছেলেমেয়েদের। আসলে তখন তো আর তৃণমূল সরকার ছিল না, যে ছাত্রছাত্রীদের জন্য এত প্রকল্প তৈরি করবেন।’
এরপরই শিল্প প্রসঙ্গে ইন্দ্রানী মিশ্র তোপ দাগেন বিজেপিকে। তিনি বলেন, ‘অটল বিহারি বাজপেয়ীর আমলে বন্ধ হয়ে যায় কুলটি কারখানা। ভেসে যায় হাজার হাজার পরিবার। সেই বিজেপির এখন শিল্প নিয়ে কথা বলা সাজে না। এখানে যে ওয়াগন কারখানা তৈরি হয়, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন, যখন তিনি রেলমন্ত্রী ছিলেন।’