বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকে দিকে দিকে প্রার্থী বদল নিয়ে বিক্ষোভ এখন অতীত। এবার নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। প্রার্থী এখন নিজেই বলছেন আমি প্রার্থী হব না। এই ট্রেন্ডটা শুরু হয়েছিল মালদহের হবিবপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সরলা মুর্মুকে দিয়ে। কালীঘাট থেকে ওনার নাম ঘোষণা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিনি বেঁকে বসেন। আর শুধু বেঁকেই বসেন নি, তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করে সরাসরি বিজেপিতে গিয়ে নাম লিখিয়েছিলেন।
এরপর বিজেপির তৃতীয় দফায় প্রার্থীর নাম ঘোষণার দিনেও এমনই কিছু দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। বিজেপি হাওড়া দক্ষিণ থেকে রন্তিদেব সেনগুপ্তকে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু ওনার নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই তিনি বেঁকে বসেন। রন্তিদেববাবু বলেন, আমি জানিই না আমাকে প্রার্থী করবে বিজেপি। যদিও পরে তিনি গোসা ছেড়ে নেতৃত্বর কথা শুনে বিজেপির হয়ে প্রচার শুরু করে দেন।
এরপর আজ বৃহস্পতিবার বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর একইরকম চিত্র দেখা গেল। আজ বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চৌরঙ্গি থেকে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রয়াত সোমেন মিত্রর স্ত্রী শিখা মিত্রকে প্রার্থী করে বিজেপি। তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। শিখাদেবী জানান, আমাকে না জানিয়েই প্রার্থী করা দেওয়া হয়েছে। আর আমি এখনও কংগ্রেসের সদস্য বিজেপিতে আমি যোগও দিইনি তাহলে আমাকে প্রার্থী করার কি মানে? শিখাদেবী পরিস্কার জানিয়ে দেন যে তিনি বিজেপির হয়ে নির্বাচনে লড়বেন না।
আর এরপর বিজেপির আরেকজন প্রার্থীকে নিয়ে একই রকম চিত্র দেখা গেল। কাশীপুর বেলগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে তরুণ সাহাকে। আর তরুণবাবু বিজেপির প্রার্থী হওয়ার ঘণ্টা দুয়েক আগে নিজের ফেসবুকে পেজে কাশীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে পোস্ট করেছিলেন। নিজের নাম ঘোষণা হওয়ার পর তরুণবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তিনি তৃণমূলে ছিলেন আর তৃণমূলের আছেন। আগামীদিনে বিজেপিতে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।
শিখা মিত্রর পর তরুণ সাহা একই দিনে দু’জায়গায় পরপর ধাক্কা খেয়ে বেশ ব্যাকফুটে গেরুয়া শিবির। একদিকে প্রার্থী বদলের দাবি নিয়ে যখন দলের কর্মীরা জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তখন আরেকদিকে বিজেপি এমন এমন মানুষকে প্রার্থী করছে, যারা আদৌ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত না আর বিজেপির হয়ে নির্বাচনে লড়তেও চায় না।