আচমকাই বিজেপির বিধায়কের বাড়িতে হাজির তৃণমূলের জেলা সভাপতি, শুরু কানাঘুষো

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপিতে ভাঙন যেন থামার আর নামই নিচ্ছে না। রোজই কোনও না কোনও বিজেপি নেতা, বিধায়ককে জল্পনা ছড়ায় আর বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সেই জল্পনা সত্যিও প্রমাণিত হয়। ইতিমধ্যে ৭৭ থেকে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমে ৭০ দাঁড়িয়েছে। দুজন বিধায়ক ইস্তফা দিয়ে সাংসদ পদে বহাল রয়েছেন, আর একজন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছেন তবে এখনও কোনও দলে যোগ দেন নি। আর চার জন বিধায়ক তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন।

যদিও, তৃণমূলে নাম লেখানোর মধ্যে একজন আবার বিজেপির সাংসদও রয়েছেন। এছাড়াও বহু প্রভাবশালী নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আগামীদিনে আরও কিছু নেতার যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এরই মধ্যে বিজেপির আরেকজন বিধায়ককে নিয়ে জোর জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বাড়িতে কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণের যাওয়া নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে।

যদিও, এই বৈঠক নিয়ে দুজনেই দাবি করেছেন যে, এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ মাত্র। তা স্বত্বেও অনেক প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। আগামী ৩০ অক্টোবর কোচবিহারের দিনহাটায় উপনির্বাচন। ওই কেন্দ্রে ২০২১-র নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী নিশীথ পরামানিক জয়লাভ করেছিলেন। তবে তিনি সাংসদ পদ ধরে রাখার জন্য বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। আর সেই উপনির্বাচনের আগে দুই নেতার সাক্ষাৎ অনেক প্রশ্ন খাড়া করছে। Mihir Girin

এই বিষয়ে গিরীন্দ্রনাথবাবু জানান, ‘মিহিরদাকে আমি খুব শ্রদ্ধা করি। উনি আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী। আমি ওনাকে মহালয়ার শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলাম মাত্র। এছাড়া আর কিছুই নয়।” এই বিষয়ে বিজেপির বিধায়ক মিহিরবাবু বলেন, ‘গিরীন্দ্রনাথবাবু আমার সঙ্গে শুধুমাত্র দেখা করতেই এসেছিলেন। ওনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। এটা আমাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ মাত্র।”

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলার বিজেপির সভাপতি মালতী রাভা বলেন, ‘ওঁরা দুজনা অনেক পুরনো বন্ধু। মিহিরদা আজ কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরেছেন, আর এই কারণেই হয়ত গিরীন্দ্রনাথবাবু ওনার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এতে জল্পনার কিছুই নেই।”

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর