বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির (Recruitment Scam) ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অনেকদিন ধরেই চাপ বাড়ছিল শাসক দলের অন্দরে। মামলা শুরু হতেই সামনে আসতে থাকে তৃণমূলের (Trinamool Congress) নিচুতলার নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রীদের নাম। আর সেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ালেই পড়তে হচ্ছে আদালতের রোষানলে। ইতিমধ্যেই, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এক কলমের খোঁচায় গ্রুপ সি-তে ৮৪২ জন চাকরি খুইয়েছেন।
এবার সেই তালিকায় শিলিগুড়ির প্রিয়ঙ্কা দের নাম উঠে এল। চাকরি হারানো প্রার্থীদের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে সেই তালিকাতেই শিলিগুড়ির (Siliguri) ছয় জন আছেন। তাদের মধ্যেই স্থান পেয়েছেন শিলিগুড়ি গেটবাজারে এনজেপি রেলওয়ে কলোনি স্কুলের এই শিক্ষিকা। দেশবন্ধু পাড়ার বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কা হাইকোর্টের রায় প্রকাশ্যে আসতেই একপ্রকার গৃহবন্দী করে ফেলেছেন নিজেকে। সেখানে তার প্রাসাদোপম বাড়ির দরজায় দীর্ঘক্ষণ কড়া নাড়লেও দেখা মেলেনি প্রিয়ঙ্কার।
তবে, প্রিয়ঙ্কার চাকরি হারানোর প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিদ্ধার্থ শংকর বৈশ্য বলেন, “গত শুক্রবার থেকে স্কুলে আসছেন না প্রিয়ঙ্কা। আদালতের নির্দেশ দেখেছি। কমিশন ও পর্ষদ যা নির্দেশিকা দেবে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করব।” অন্যদিকে, এই এনজেপি রেলওয়ে কলোনি স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি স্থানীয় তৃণমূল নেতা পার্থ দে। তাঁর স্ত্রী রুবি রাহা দেও শিক্ষিকা পদে কর্মরত ছিলেন স্থানীয় দেশবন্ধু বিদ্যাপিঠে। কিন্তু, আদালতের নির্দেশে তার চাকরিও আর নেই। সাংবাদিকরা তার কাছে পৌঁছলেও কোনরকম মন্তব্য করতে চাননি এই দম্পতি।
শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতার স্ত্রীর চাকরি বাতিলের পাশাপাশি চাকরি খুইয়েছেন এমন প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে শালবনীর বিধায়ক তথা ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাই খোকন মাহাতোর। পাশাপাশি, ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা দলের ডায়মন্ড হারবার টাউন সভাপতি অমিত সাহারও চাকরি চলে গিয়েছে। সূত্রের খবর, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের গার্লস স্কুল রোডের বাড়িতে গেলেও অমিতের কোন খোঁজে পাওয়া যায়নি। অনেক ডাকাডাকি করার পরেও তার দেখা মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে।