বাংলা হান্ট ডেস্ক : আলিপুর আদালতের নির্দেশ অমান্য করলেও এইদিন সকাল সকাল ইডির (ED) দফতরে পৌঁছে গেলেন নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৭ মিনিট নাগাদ সাদা রঙের নীল বাতি লাগানো গাড়িতে করে বাড়ি থেকে বেরোন নুসরত। ১০ টা ৩০ মিনিট নাগাদ অভিনেত্রী সাংসদ পৌঁছে যান সল্টলেকের সিজিও কম্প্লেক্সে। এখানেই রয়েছে ইডির দফতর।
এতদিনে একথা সকলেই জেনে গেছেন যে, নুসরত একটি সংস্থায় থাকাকালীন একাধিক প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা হয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই প্রতারিতদের সুবিচার পাইয়ে দিতে তৎপর হয়ে ওঠে বঙ্গ বিজেপি। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা বেশ কয়েক জন অভিযোগকারীকে নিয়ে গড়িয়াহাট থানা এবং সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপরেই মাঠে নেমে পড়েন তদন্তকারীরা। সংস্থার দুই ডিরেক্টর রাকেশ সিং এবং নুসরত জাহান সহ মোট ৮ ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে এই ঘটনায়। বস্তুত, এর আগেও নুসরতকে একবার ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঐ ঘটনার পরপরই অভিনেত্রী সাংসদ প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানান, এই ঘটনা যখন ঘটেছে তিনি তখন ঐ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেননা।
আরও পড়ুন : TRP তলানিতে, বন্ধ হচ্ছে ‘এক্কা দোক্কা’র সফর! কবে হবে শেষ সম্প্রচার? জানালেন সোনামণি
এছাড়াও ঐ বৈঠকে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তিনি ঐ সংস্থার থেকে কয়েক কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যা তিনি পরে কড়ায় গন্ডায় শোধ-ও করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। যদিও এরপরেই তাকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয় যে, তিনি কোনও ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ না নিয়ে কোম্পানি থেকে কেন নিলেন? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর নুসরত দেননি। উল্টে তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : ‘সেই চুম্বন ছিল…’, বাবা মহেশ ভাটের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ কিস নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন পুজা ভাট
অনদিকে ইডি জানাচ্ছে, মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন যা তথ্য হাতে এসেছে তার ভিত্তিতেই তৃণমূল সাংসদ নুসরতকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগকারীদের বয়ানকেও গুরুত্ব দিচ্ছে ইডি। উল্লেখ্য, গত সোমবার নিম্ন আদালতেও অন্য একটি মামলার শুনানি ছিল। যদিও এইদিন আদালতে উপস্থিত হননি সাংসদ অভিনেত্রী। এরপরেই বিচারপতি রায় দেন যে, এরপর সশরীরে হাজিরা দিতে হবে তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানকে।