বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জলের তোড়ে চোখের সামনেই মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ল তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) গোটা কার্যালয়। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল হারে ভাইরাল (Viral Video) হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিশ্রীপাটে। বিরোধীরা তৃণমূলের কার্যালয় ভেসে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সরকারকে নিশানা করছে। তাঁদের মতে, সরকার এত উন্নয়ন করেছে যে, সেই জোয়ারেই তৃণমূলের গোটা কার্যালয় জলে ভেসে গেল।
রবিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিশ্রীপাট এলাকায় তৃণমূলের কার্যালয়ে ফাটল দেখা দেয়। বিপদের আঁচ করতে পেরে কর্মীরা তৎক্ষণাৎ কার্যালয় ছেড়ে বেরিয়ে আসে। আর এরপরই দেখতে দেখতে জলে মিশিয়ে যায় গোটা কার্যালয়। গোটা ঘটনার ভিডিও অনেকেই নিজের ক্যামেরাবন্দি করেছেন। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। সতর্ক থাকার কারণে বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে এ যাত্রায়।
https://twitter.com/BjpBandel2580/status/1421819260939104256
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই জল জমেছে। কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ জল যন্ত্রণায় ভুক্তভোগী। দুই তিনদিন হলেও এখনও বহু জায়গার জল নামেনি।
একটু জল হলে ডুবে যায় কলকাতার চারপাশ, আর ভারী বর্ষণ হলে জল যন্ত্রণা যে রীতিমতো দুঃসহ হয়ে ওঠে তা বলাই বাহুল্য। এই নিয়ে বরাবরই কটাক্ষ এবং রসিকতা সহ্য করতে হয়েছে শাসক দলকে। গতবার ভারী বর্ষণের সময় কলকাতা একটা গামলা বলেও মন্তব্য করেছিলেন পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এবারও পাতিপুকুরে মারাত্মক জল জমে রীতিমতো হুলুস্থুল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় সম্পূর্ণ ডুবে যেতে দেখা গিয়েছে একটি আস্ত বেসরকারি বাসকে।
স্বাভাবিকভাবেই এরপর বিরোধীদের কটাক্ষ দেশে এসেছে শাসকদলের দিকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিদায়ী মেয়র যখন সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন, তখন দুঃখ করে বলেছিলেন, কলকাতা জলে ভেসে যাচ্ছে, মানুষকে বাঁচাতে পারলাম না। এখন তো কেউ অ্যারেস্ট হননি, তাহলে এখন ভাসল কেন কলকাতা?” এদিন ‘টক টু কেএমসি’ নামক একটি অনুষ্ঠানে এর জবাবও দিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, শুধু কলকাতায় কেন অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্য জল জমে সেখানকার মানুষকে বাঁচাতে চান না। শুধু কার্যত বিরোধিতা করার জন্যই এসব কথা বলছেন দীলিপবাবু।
যদিও সাথে সাথে আশার কথাও জানিয়েছেন তিনি। ফিরহাদের দাবি, আগামী বছর থেকে আর এরকম জল যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে না মানুষকে। গত কয়েকদিনে রীতিমতো বৃষ্টির কারণে সমস্যার মুখে পড়েছিলেন মানুষ। জল জমে রীতিমতো দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতায়। একদিকে যেমন পাতিপুকুর, তেমনি অন্যদিকে টালিগঞ্জ, খিদিরপুর, বেহালা ও আলিপুরের বিভিন্ন এলাকাতেও যথেষ্ট জল যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে মানুষকে। বাদ পড়েনি উত্তর কলকাতাও বেলগাছিয়া সহ বেশ কিছু এলাকায়।