বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবারও শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তীতে (Basanti)। সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূলকর্মীর। এই ঘটনায় বাসন্তী থানার পুলিশ গ্রেফতার করল স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ এলাকায়। দিন কয়েক আগে বাসন্তীর মুড়াখালির আমঝাড়াতে তৃণমূল কর্মী আমির আলি সর্দার খুন হয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, অভিযোগের তির ছিল স্থানীয় ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা যুব তৃণমূল নেতা ইউসুফ মোল্লার দিকে। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে বাসন্তী থানার পুলিশ। পাশাপাশি ওই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সোনাখালি এলাকার জালাল মোল্লা, রাজেশ রোশন মোল্লা (বাপি) নামে আরও দুই যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনজনকেই গোলমালের আশঙ্কায় ভাঙড় থানায় রাখা হয়েছে। বুধবারই তাঁদের আদালতে হাজির করানো হবে। বাসন্তী ব্লকের তৃণমূল নেতা রাজা গাজি জানিয়েছেন, ইউসুফ মোল্লার নামে বহু অভিযোগ জমা পড়েছিল।
পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর আরও অভিযোগ, একদা সিপিএম করা ইউসুফ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমরাও দলের কাছে বহুবার নালিশ করেছি ইউসুফের বিরুদ্ধে। তৃণমূলকর্মী খুনের ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধান গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিজেপি ও সিপিএম নেতাদের বক্তব্য, এই গ্রেফতারি থেকেই প্রমান হচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল কতটা উচ্চতায় পৌঁছেছে।