বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলার (West bengal) বুকে থেকে আবারও এক তৃণমূল (All India Trinamool Congress) পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে উঠল ঘোরতর অভিযোগ। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বেলিয়াড়া গ্ৰামের তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান তাসমিনা খাতুনের নামে সংঘর্ষে সামিল হওয়ার অভিযোগ ওঠে। স্বামী রহিম মন্ডলের সাথে মিলিত ভাবে এই তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমেছে বলে অভিযোগ।
ক্ষমতা দখলের লড়াই
বাঁকুড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে আগষ্ট মাসের শুরুতেই চলে ব্যাপকহারে বোমাবাজি। সেই বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছিলেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান বাবর আলি সেখ। তবে পরবর্তীতে তাঁর মৃত্যু্র খবর পাওয়া যায়। এরপর এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বেলিয়াড়ার গোটা গ্ৰামেই।
অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে
অভিযোগ ওঠে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বেলিয়াড়া গ্ৰামের তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান তাসমিনা খাতুন এবং তাঁর স্বামী রহিম মন্ডলের সাথে মিলিত ভাবে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমছেন। তাঁর ফলেই এই ব্যাপক বোমাবাজির জেরে প্রাণ হারাতে হয় প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান বাবর আলি সেখকে।
অভিযান চালায় পুলিশ
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে রবিবার এলাকাবাসী ও পুলিশ একত্রে যৌথ অভিযান চালায় বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান তাসমিনা খাতুনের বাড়িতে। অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় পিস্তল, গুলি, হাতকামান সহ আরও নানান অস্ত্র। কিন্তু অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী রহিম মন্ডলকে হেফাজতে নেওয়া গেলেও, এখনও অবধি খোঁজ পাওয়া যায়নি পঞ্চায়েত প্রধান তাসমিনা খাতুনের।
চাঞ্চল্য গোটা এলাকা জুড়ে
এই ঘটনার জেরে গোটা এলাকা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলেও উত্তেজনা তুঙ্গে। কিভাবে ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান নিজের বাড়িতে এই বিপুল পরিমাণে অস্ত্র মজুত রেখেছিলেন সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। সেইসঙ্গে তিনি এই অস্ত্র কোথা থেকে আমদানি করেছিলেন, সেই খোঁজও চলছে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোয় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।