বাংলা হান্ট ডেস্ক : দামামা বেজে গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election)। চলছে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর্ব। দিকে দিকে অশান্তির ছবি সামনে আসছে। অন্যদিকে জোর কদমে চলছে তৃণমূলের জাতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Abhishek Banerjee) নব জোয়ার কর্মসূচী। নব জোয়ারে জন জোয়ার দেখা যাচ্ছে বলে দাবি পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) শাসক দলের। কিন্তু এরই মধ্যে অব্যাহত দল বদলের ঘটনা। এবার ফের ঘর ভাঙল মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ প্রায় ১০০ জন কর্মী ও সমর্থক। ঘটনাটি বীরভূমে ময়ূরেশ্বর এক নম্বর ব্লকের দক্ষিণগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে । এদিন দক্ষিণগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত প্রধান শিউলি দে তাঁর অনুগামী তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকেরা বিজেপিতে যোগ দিলেন । তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দিলেন বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার কনভেনর অর্জুন সাহা।
বিজেপি তে যোগদানের পর শিউলি দে তোপ দেগেছেন প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে ৷ তিনি বলেন, ‘তৃণমূল চোরদের দল তাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলাম । আমি অর্জুন সাহার হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করলাম।’ অবশ্য শাসক দলের নেতারা এই দল বদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, গ্রামের মানুষ নবজোয়ার কর্মসূচিতে প্রার্থী বাছাইয়ে তাঁকে বাদ দিয়েছে । উনি গ্রামের মানুষের কোনও কাজই করেননি । প্রার্থী পদ না মেলাতেই তিনি দল বদল করেছেন ৷
একই ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরে। ভগবানপুরের দুই ব্লকের জুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কিছু সংখ্যালঘু যুবক আজ তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন বলে জানা যাচ্ছে। জুখিয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি ছিলেন সেখ রামজন আলি। তাঁর সঙ্গেই বেশ কিছু পরিবার আজ বিজেপিতে যোগদান করলো। তাঁদের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেন ভগবানপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি।
অপরদিকে বিজেপির যুব মোর্চার কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য তথা দিনহাটা বিধানসভার বিজেপি যুব মোর্চার আহ্বায়ক অনিমেষ বর্মণ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে নিলেন। রবিবার দিনহাটায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের হাত থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেন তিনি।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে পা রেখেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্ম নিয়ে সরব হন তিনি। অনিমেষ বর্মণের কথায়, ‘বিজেপি বলেছিল ‘অচ্ছে দিন’ আসবে। কিন্তু গ্যাসের দাম, তেলের দাম বাড়ছে। কোচবিহারে যাঁরা বিজেপি চালাচ্ছেন তাঁদের দ্বারা দল চালিত হতে পারে না। কোনও প্রকল্পই বাস্তবায়িত হয়নি। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ নেই।’ আর এই যোগদান নিয়ে উদয়ন গুগ বলেন, ‘অনিমেষকে দিয়ে বিজেপি এমন কাজ করিয়েছে যে, ও পুলিশের নজরে পড়ে গিয়েছে। আমরা চাই ওর গুণগুলিকে আমাদের সংগঠনের কাজে লাগাতে। ঠিক মতো চলতে পারলে ভবিষ্যতে পুরষ্কৃত হবে।’