বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঝুলি থেকেই বেরিয়ে পরল বিড়াল। আমফানের (Amphan) ক্ষতিপূরণ পেল খোদ তৃণমূল (All India Trinamool Congress) পঞ্চায়েত প্রধানের স্ত্রী। তালিকা ভুক্ত ১০২ জনের মধ্যে ৯১ জনেরই কোন অস্তিত্ব নেই। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৭ জন ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০০০০ টাকা পকেটে পুরেও নিয়েছেন। বিপাকে হুগলির গরলগাছার তৃণমূলের পঞ্চায়েতে প্রধান।
ক্ষতিপূরণ পেলেন সুরক্ষিত মানুষজন
করোনা ভাইরাসের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ হয় বাংলার বিরাট অংশের মানুষজন। ঝড়ে ভেঙ্গেছে কারো বাড়ি, তো নষ্ট হয়েছে কারো ক্ষেত ভরা ফসল। সরকারের তরফ থেকে সেইসব দুর্যোগ বিধ্বস্ত মানুষের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু হুগলির গরলগাছা গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে দেখা গেল, ক্ষতিপূরণ পেলেন এমন কিছু মানুষ, যাদের ঘর বাড়ি ভাঙ্গা তো দূর, আমফান তাঁদের স্পর্শ পর্যন্ত করেননি। বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুন্ডার বিষয়টি খতিয়ে দেখিতেই পর্দা ফাঁস হয়ে যায়।
পঞ্চায়েত প্রধানের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেও ঢুকল ক্ষতিপূরণের টাকা
প্রস্তুত করা তালিকার মধ্যে নাম ছিল ১০২ জনের। তাছাড়াও ১৭ জন পেয়ে গেছেন ক্ষতিপূরণও। এর মধ্যে রয়েছে আবার খোদ গ্রাম পঞ্চায়েতের স্ত্রীর নামও। এমনকি এই ক্ষতি পূরণের টাকা ইতিমধ্যেই ঢুকেও গেছে তাঁর অ্যাকাউন্টে। এই খবর জানা জানি হওয়ার পরই চেপে ধরা হয় পঞ্চায়েত প্রধানকে। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, একটি টাকাও তিনি নয়ছয় করতে দেবেন না, সেখানে নিজের অন্দরেই চলছে কারছুপি।
ভুল হয়ে গেছে
বেগতিক দেখে ‘ভুল হয়ে গেছে বিলকুল’ বলে টাকা ফেরত দেওয়ার কথাও বলেন পঞ্চায়েত প্রধান। তিনি দাবী করেছিলেন, তাঁর স্ত্রীর একটি ধূপকাঠি কারখানা আছে। এবং আমফানে তাঁদের বাড়ির কোনরূপ ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, তাঁর স্ত্রীর কারখানা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই তিনি এই ক্ষতিপূরণের তালিকায় নিজের স্ত্রীর নাম লিখেছিলেন। তড়িঘড়ি ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরি করতে গিয়ে সরকারের নিয়ম জানা হয়নি, তাই এই ভুল হয়েছে বলেও জানালেন তিনি। তবে নতুন করে ফের আবারও তালিকা সংশোধন করে পাঠানো হয়েছে।