বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাড়িতে নতুন বউমার আগমন, চারিদিকে বৌভাতের প্রস্তুতি। এমনই শুভ দিনে হঠাৎই শোরগোল পরে গেলো পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে। মানসন্মান মিশলো ধুলোর সঙ্গে। ঘটনাটি দেগঙ্গার (Deganga) নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। ছেলের বৌভাতের দিন পঞ্চায়েত প্রধান (Panchayat Pradhan) উমা দাসের বিরুদ্ধে তার বাড়ির কাছাকাছি এলাকায় একাধিক কাটমানি খাওয়ার পোস্টার। খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পরে গিয়েছে গোটা এলাকায়।
বৌভাতের দিন সকলে যখন অনুষ্ঠানের ইচইয়ে মত্ত ঠিক সেই সময় প্রকাশ্যে আসে দেগঙ্গার নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উমা দাসের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার সেইসব পোস্টার।
কি লেখা ছিল সেই পোস্টারে? পোস্টারে লেখা হয়েছে দুর্নীতিতে জড়িত পঞ্চায়েত প্রধান। টাকা খেয়ে নিজে মোজাইক করা পাকা বাড়ি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার পাশাপাশি টাকা খেয়েছেন একশো দিনের টাকাও।
ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত প্রধান উমা দাস। প্রধান ও তার স্বামী নিলুপদ দাসের অভিযোগ, একেবারে পরিকল্পনা মাফিক ওই সব পোস্টার লাগানো হয়েছে। গোষ্ঠী কোন্দলের পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য এসব পোস্টার দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে, অভিযোগের সেই পোস্টার নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধী মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে জলঘোলা। স্থানীয় বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক তরুণ কান্তি ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, বহু অভিযোগ এমন রয়েছে, যাদের মার্বেল বসানো পাকা বাড়ি রয়েছে তাদের নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে কমিশন নেওয়া হয়েছে। এরকম যারা টাকা পেয়েছে তার একটা ইটও গাঁথেনি। এই পঞ্চায়েত প্রধান, তার স্বামী ভুয়ো বিল দিয়ে টাকা তুলে তাদিয়ে বাজার করছেন। সেই কথাই এলাকার মানুষে পোস্টার হিসেবে লিখেছে। যে প্রধানের কোনও আয় নেই তার এতবড় বাড়ি হল কী করে। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ করে লাগানো ওই পোস্টার গুলো ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর।