২ লক্ষ টাকা তোলা দিতে অস্বীকার, সস্ত্রীক ইঞ্জিনিয়ারকে বেধড়ক মারধর তৃণমূল প্রধানের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তোলাবাজি, সিন্ডিকেট রাজ, কাটমানি এই তিনটি জিনিস নিয়ে বারবারই বিদ্ধ হয়ে এসেছে শাসক দল। যদিও, তৃণমূল প্রতিবারই এসব অস্বীকার করে গিয়েছে। কিন্তু অস্বীকার করলেও, বারবার শাসক দলের নেতা আর শাসক ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীরা বারবার এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হয়েছে। আর এবার তার আরেকটি উদাহরণ দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায়।

অভিযোগ, ফলতার এক স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারের থেকে নার্সারির জমিতে মাটি ফেলার জন্য তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ২ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। আর সেই টাকা দিতে না পারায় সস্ত্রীক ইঞ্জিনিয়ারকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। তবে, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান।

জানা গিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ার কুন্তল মজুমদারের বাড়ির পাশে একটি নার্সারি রয়েছে। সেই জমিতে মাটি ফেলার জন্য গত বছর ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন স্থানীয় দেবীপুর গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান সনাতন প্রামাণিক। কিন্তু তৃণমূল প্রধানের দাবি পূরণ করেননি সেই ইঞ্জিনিয়ার। এরপর এই বছরের মার্চ মাসে সেই জমিতে মাটি ফেলার কাজ শুরু করেন কুন্তলবাবু।

টাকা না দিয়ে মাটি ফেলার কাজ শুরু করার জন্য কুন্তলবাবুকে চাপ দিয়ে এবার ৫০ হাজারের বদলে ২ লক্ষ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন প্রধান সনাতন মজুমদার। কুন্তলবাবু এবারও টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে হুমকি দেন সনাতনবাবু। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। কুন্তলবাবুকে তারই জমিতে ফেলে বাঁশ দিয়ে পেটানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী স্বামীকে বাঁচাতে গেলে, তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

খবর পেয়েই পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। দম্পতিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে যে, কুন্তলবাবুর স্ত্রী জুলিদেবীর শিরদাঁড়ায় আঘাত লেগেছে। বর্তমানে গ্রাম ছাড়া রয়েছেন এই দম্পতি।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর