বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত শনিবার তৃণমূলের (Trinamool Congress) পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটি বৈঠকে বসে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। বৈঠকের পর রীতিমতো অনুরোধের সুরে দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দলের বিরুদ্ধে যারা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করুন। নয়তো বন্ধ হয়ে যাবে দলের দরজা।
এরপরেও যে সকল নির্দল প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল তৃণমূল। তৃণমূল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বহিষ্কার করা হয়েছে ৫৬ জনকে। অনেকের মতে জেলা ভিত্তিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এই সংখ্যাটা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বহিষ্কারের ক্ষেত্রে সব থেকে উপরের সারিতে রয়েছে নদীয়া। তৃণমূল কংগ্রেস নদীয়ার ২১ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এরপর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর। দলের পক্ষ থেকে এই জেলার ১৭ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছিলেন এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই এর ক্ষেত্রে কড়া মনোভাব নেওয়া হচ্ছে। যারা মানুষের কাজ করতে চান না তাদের দল প্রার্থী করবে না। একই সুরে অভিষেক বলেছিলেন এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্বচ্ছ ভাব মূর্তির উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
নির্দল প্রার্থীদের নির্বাচনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে গত পুরসভা নির্বাচনেও সমস্যা সম্মুখীন হয়েছিল তৃণমূল। সেই সময় রাজ্যের শাসক দল জানায় নির্দল হিসেবে কেউ জয়লাভ করলে তাকে আর দলে ফেরত নেওয়া হবে না। যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে এই ফর্মুলা সব জায়গায় প্রয়োগ করা হয়নি। নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর বহু নির্দল মিশে গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের সাথে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের এহেন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সুস্পষ্ট বার্তা দিতে চাইছে জনগণকে। এছাড়াও তৃণমূলের উপর তলা স্পষ্টভাবে দলের সবাইকে বোঝাতে চাইছে যে বা যারা দলের শৃঙ্খলা মানবে না তাদেরকে সরে যেতে হবে দল থেকে।