বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২১ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন জেতার পর থেকেই লক্ষ্য বদলে যে দিল্লিকে টার্গেট করেছে তৃণমূল, তাদের একের পর এক পদক্ষেপেই তার প্রমাণ মিলেছে। শুধু বাংলায় নয়, এবার দিল্লি দখলের দূরবর্তী লক্ষ্যকে পূরণ করতে অন্যান্য বিজেপি অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতেও জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছে তারা। সর্বভারতীয় সভাপতি হবার পরেই একথা মোটামুটি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি (Abhishek Banerjee)। পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, এবার অন্যান্য রাজ্যেও জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে তৃণমূল।
সেই সূত্র ধরে সবচেয়ে সহজ টার্গেট যে হল আসাম (Assam) এবং ত্রিপুরা (Tripura) তা বলাই বাহুল্য। একদিকে ত্রিপুরায় যেমন বাংলা ভাষাভাষী মানুষ রয়েছেন, অন্যদিকে আসামও ভাষা ক্ষেত্রে বাংলার খুব কাছাকাছি। সেই সূত্র ধরেই উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে নিজেদের ঘাঁটি মজবুত করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। যেভাবে উত্তর-পূর্বে লক্ষ্য দিয়েছে বিজেপিও (BJP)। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই এক নির্দলীয় সাংসদকে তৃণমূলে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে। কোকরাঝাড়ের নির্দল সাংসদ নবকুমার সারানিয়াকে (Nabakumar Saraniya) এই প্রস্তাব পাঠানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নবকুমার সারানিয়া অবশ্য তৃণমূলের প্রস্তাব ভেবে দেখছেন বলেই জানিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আসামের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল। তাঁরা এ বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে এখনই চূড়ান্ত ভাবে কিছু বলার সময় আসেনি। আমি তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখেছি, তাঁরা আসামে তাঁদের দলীয় সংগঠন বাড়াতে আগ্রহী। পাশাপাশিই তাঁরা আগামী নির্বাচনগুলিতে আমাদের রাজ্যে ভাল ফল করার উদ্যোগ নিতে শুরু করেছেন তারা। তাই আমিও তাঁদের প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছি।’’
আপাতত সংসদের বাদল অধিবেশনে যোগদানের জন্য দিল্লিতে রয়েছেন সাংসদ নবকুমার সারানিয়া। এরই মাঝে ২৬ জুলাই দিল্লি যাচ্ছেন মমতাও (Mamata Banerjee )। তাই এখন থেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার করা শুরু করেছেন অনেকেই। তাৎপর্যপূর্ণভাবে নবকুমারও জানিয়েছেন, দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরাও থাকবেন। আশা করা যায় তখন কিছু ফলপ্রসূ আলোচনা হবে। তার এই বক্তব্যের পর অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকই মনে করছেন, হয়তোবা নবকুমারের তৃণমূলে যোগদান সময়ের অপেক্ষা।