বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: রামপুরহাটের বগটুইয়ের নৃশংস ছবি এখনও রাজ্যের মানুষের মনে দগদগে ভাবে লেগে রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত এবং রাজনৈতিক কাজিয়ার মাঝে আবারও ঘটলো রাতের অন্ধকারে দুটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো অসামাজিক ঘটনা। এবারের ঘটনাস্থল হল উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট অঞ্চল। এই অঞ্চলের এক তৃণমূল কর্মীর পরিবারের দুটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই গোটা ঘটনায় অভিযোগের তীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (ISF) দিকে।
এই নিয়ে শুরু হওয়া রাজনৈতিক বিতর্কের মাঝেই স্থানীয় আইএসএফ কর্মীদের বিরুদ্ধে দেবীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আজ শনিবার ভোরবেলা যখন গোটা উত্তর দেবীপুরের বসিরহাটের মাটিয়া থানা এলাকা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তখন এই ঘটনা ঘটেছে। আচমকাই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী আরফান শেখ ও ফজের আলি গাজীর বাড়ি। ঘটনায় আক্রান্তরা স্থানীয় কিছু আইএসএফ কর্মীর নাম নিয়েছেন। তারা আশংকা করছেন ওই আইএসএফ কর্মীরাই আগুন লাগিয়ে দেয় বাড়ি দুটিতে।
অনেকে সেই সময় সেই বাড়ির ভেতরে থাকলেও হতাহত হননি কেউই। সদস্যরা কোনও ক্ষতি হওয়ার আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। কিন্তু আগুন নেভানোর কিছু চেষ্টা করার আগেই বাড়ি দুটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। নষ্ট হয়ে যায় টাকা পয়সা সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাড়িতে আগুন লাগানো ও পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।
সেই ঘটনায় আক্রান্ত মহিলা তৃণমূলকর্মী জোহরা বিবি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় এই অশান্তি চলছে। একাধিকবার আমরা পুলিশের সাহায্য চেয়েও পাইনি। আসলে আমাদের ওপর রাগ কারণ আমরা তৃণমূল করি। যারা এই কাজ করেছে তারা প্রত্যেকেই আইএসএফ এর কর্মী। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি আমরা। প্রত্যেকের শাস্তি চাইছি।” যদিও পরে অভিযোগকারীরা দাবি করেন যে, অভিযুক্ত মনসুর মণ্ডল, আলা মণ্ডল, নাসির মণ্ডল, লাড্ডু মণ্ডল প্রত্যেকে স্থানীয় আইএসএফ কর্মী ঘটনার পর থেকে পলাতক।