লোকসভা পাস হওয়ার পর মঙ্গলবার রাজ্যসভায় তিন তালাক বিল উপস্থাপন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এটিকে দুপুর বারোটায় বিল হাউজের টেবিলে রেখেছিলেন। বিলকে সদনে উপস্থাপন করার পর রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছিলেন, এটি লিঙ্গ ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সাম্যের বিষয়। ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। ২০১৩ সালের ট্রিপল তালাকের দরুন বিবাহ বিচ্ছেদের পর সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল কিছু শোষিত মহিলা। এই ক্ষেত্রে, সুপ্রিম কোর্টের দুজন বিচারক রায় দিয়েছিলেন।
এক্ষেতে এক বিচারক বলেছিলেন, স্বেচ্ছাচারিতা এবং অসাংবিধানিক। অন্যদিকে আরো একজন বিচারক বলছিলেন, কুরআনে যা লেখা আছে তা সাংবিধানিক দৃষ্টি দিয়েও সঠিক হবে তা প্রয়োজনীয় নয়। এই ইস্যুতে সদনের হস্তক্ষেপেও দাবি করা হয়েছিল। আর সরকারের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আজ রাজ্য সভায় ত্রিপিল তালাক বিল পাস হয়েছে। তিন তালাক দিয়ে স্বামীকে ৩ বছরের সাজা দেওয়া হবে। এবার থেকে ভারতে ত্রিপিল তালাক আইনি অপরাধের শ্রেণীতে পড়বে।
তিন তালাক দিলে ৩ বছরের সাজা ও স্বামীর উপর জরিমানা লাগানো হবে। ত্রিপিল তালাক দেওয়ার মামলায় মহিলার পরিবার পুলিশের কাছে FIR দায়ের করতে পারবে। যার পর স্বামীকে গ্রেফতার করা হবে। তিল তলায় বিল পাস হওয়ার পর রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন এটা বদলে যাওয়া ভারতের ইঙ্গিত। জানিয়ে দি ত্রিপিল তালাক ইস্যুতে বিজেপি প্রথম থেকেই মুসলিম মহিলাদের পক্ষে ছিল। অন্যদিকে বাকি কিছু দল ত্রিপিল তালাক বিলের বিরোধ করেছিল। তবে শেষমেষ ভারত দেশ থেকে ঐতিহাসিকভাবে ত্রিপিল তালাককে অপরাধ করে দেওয়া হলো।