বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েকদিন ধরে ত্রিপুরার রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে। ২ মে তৃতীয়বার বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলকে জাতীয় স্থরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতেই গেরুয়া শিবিরে ভাঙন দেখা দেয়। মুকুল রায়কে দিয়ে ত্রিপুরায় বড়সড় ভাঙন ধরানোর চেষ্টা ছিল তৃণমূল। আর এবার তাঁরা সেই লক্ষ্যে সফল হল।
কদিন আগে প্রশান্ত কিশোরের আই প্যাক টিম ত্রিপুরায় যায়, সেখানে তাঁদের হোটেলে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এরপরই তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে আরও তরজা বেড়ে যায়। তৃণমূলের একের পর এক নেতা ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
ডেরেক ওব্রায়েন, ব্রাত্য বসু, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলী ঘোষ দস্তিদার বর্তমানে ত্রিপুরায় রয়েছেন। আর তাঁদের হাত ধরেই এবার বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন দেখা দিল।
আজ আগরতলায় বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিক তৃণমূলে যোগ দেন। ওনার হাত ধরে বিজেপি এবং কংগ্রেসের আরও ৪০ জন নেতা আজ তৃণমূলে যোগ দেন। ওনার দলত্যাগে যে বিজেপির বড়সড় ক্ষতি হল, সেটা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, সুবল ভৌমিক একদা কংগ্রেসের বড় নেতা বলে পরিচিত ছিলেন। এরপর তিনি কংগ্রেস ছেড়ে গ্রামীণ কংগ্রেস নামের একটি দলে যোগ দেন। এরপর তিনি আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি সদলবলে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপিতে মোহভঙ্গ হওয়ায় তিনি আবারও কংগ্রেসে যোগ দেন। অবশেষে তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন আজ।
‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যের পর তীব্র কটাক্ষ! এবার মমতার সন্দেহ ‘১৪৪ বছর’ পর মহাকুম্ভ নিয়ে