বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ত্রিপুরা থেকে অবশেষে খালি হাতেই ফিরতে হল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এদিন ত্রিপুরায় 4টি উপ নির্বাচন কেন্দ্রে ফল ঘোষণা হয়। ভাগ্য নির্ধারণের সেই পরীক্ষায় ডাহা ফেল করল তৃণমূল। অবশ্য ত্রিপুরার ভোটে জয়লাভ করার জন্য কোনরকম খামতি দেয়নি টিএমসি। গত বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে জয়লাভের পেছনে বিরাট অবদান ছিল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা ‘আইপ্যাক’-র। সেই সংস্থাকেই ত্রিপুরায় দেওয়া হয়েছিল দায়িত্ব। এমনকি উপনির্বাচনের পূর্বে একের পর এক জনসভা করে ত্রিপুরাবাসীর উদ্দেশ্যে একাধিক বার্তা পৌঁছে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও মিমি চক্রবর্তী থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক শীর্ষনেতারাও পাড়ি দেন ত্রিপুরায়। তবে ফলাফলে দেখা গেল উল্টো চিত্র!
চারটি উপনির্বাচন কেন্দ্রে জয়লাভ তো দূরের কথা, তৃতীয় স্থানও দখল করতে পারলো না তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি, চারটির মধ্যে তিনটি আসনে 1000 টি ভোট-ও পায়নি তারা! তবে ত্রিপুরার বুকে তৃণমূল কংগ্রেসের এহেন করুণ দশা কেন হল, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা মেলেনি।
টাউন বড়দোয়ালি, আগরতলা এবং সুরমা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীরা এক হাজার ভোটের অনেক আগেই থেমে গিয়েছেন। কেবলমাত্র যুবরাজনগর কেন্দ্র থেকেই 1073 টি ভোট পেয়ে দলের মুখ কিছুটা রক্ষা করেছেন মৃণালকান্তি দেব। উল্লেখ্য, টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী সংহিতা ভট্টাচার্য পান মরতে 986 টি ভোট। এই কেন্দ্রে জয়লাভ করেন ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। অপরদিকে, আগরতলা এবং সুরমা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মান্না দেব এবং অর্জুন নমঃশূদ্রের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা 842 এবং 469। ফলে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের বার্তা ত্রিপুরাবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি বলেই মতপ্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে তৃণমূলের এই দুর্দশার মাঝে ত্রিপুরায় চারটি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতে বড় জয় পেয়েছে বিজেপি। একদিকে যেমন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার জয়লাভের ফলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, ঠিক অপরদিকে আরো দু’টি কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছে শাসকদল। অবশ্য এক্ষেত্রে কংগ্রেসের ঝুলিতে এসেছে মাত্র একটি কেন্দ্র। এক্ষেত্রে বাকি তিনটি উপনির্বাচন কেন্দ্রে বিজেপির কাছে পরাজিত হলেও একমাত্র আগরতলা থেকে জয়লাভ করেন কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন। সম্প্রতি বিজেপি থেকে কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি এবং এদিন অবশেষে নিজের পুরনো দলকে হারিয়ে ত্রিপুরায় কংগ্রেসের মুখ রক্ষা করলেন তিনি।